করিনা কপুর খান ও অনুষ্কা শর্মা
ফ্যাশন মানেই এখন আর সরু কোমর, হিলহিলে শরীরের ডিজাইনার পোশাক নয়। বরং এখন নানা ধরনের চেহারার জন্য ডিজাইনাররা তৈরি করছেন নিত্য নতুন কাট আর স্টাইল। প্লাস সাইজ পোশাক যেমন তার মধ্যে রয়েছে, তেমনই রয়েছে হবু মায়েদের শরীরের জন্য মানানসই ড্রেস। হালে এমন পোশাকেই চমকে দিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা।
ক’দিন আগে রাস্তায় অনুষ্কাকে দেখা গেল বিরাট কোহলির সঙ্গে। খোলা চুলের অনুষ্কার পরনে তখন ‘মেসন মার্জেলা’ ব্র্যান্ডের এমএমসিক্স সিরিজের ঢিলে সোয়েটশার্ট, পায়ে সাদা স্নিকার। মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল এই ছবি। ‘বেবি বাম্প’ নিয়ে কোনও অস্বস্তি তো নয়ই, বরং এই পোশাকে অনুষ্কার মাতৃত্বকালীন চেহারাটা যেন নিজেই একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর ডিজাইনার লঁজারি।
তবে তিনি একা নন, অনুষ্কার পাশাপাশি করিনা কপুর খানও। নিত্য পোষ্ট করে চলেছেন নিজের এমন ছবি। বেবি বাম্পের ছবি এবং শরীরের সঙ্গে মানানসই পোশাক।দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছেন করিনা। প্রথম বার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনও তিনি একের পর এক ডিজাইনার পোশাকে নিজের ছবি পোস্ট করতেন।
দুই বলিউড সুপারস্টারের মতোই টলিউডের শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও মাতৃত্বকালীন ফ্যাশন থেকে একেবারে দূরে থাকেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও শাড়ি, কখনও বা অন্য পোশাকে নিজের মতো করে হাজির হয়েছেন ফ্যাশন সচেতন হবু মা হিসেবে। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হয়ে যাবে কল্কি কেঁকলা, নেহা ধুপিয়া, লিজা হেডেন, সমীরা রেড্ডির নাম ঢুকলে। পিছিয়ে নেই হলিউডের ব্লেক লাইভলি, জেনিফার লোপেজ, কেটি পেরি, অ্যাঞ্জেলিনা জোলিরাও।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
কিন্তু শুধু সেলিব্রিটিরা কেন? সাধারণ বাড়ির প্রত্যেক হবু মাও হয়ে উঠতে পারেন তাক লাগানো ফ্যাশানিস্তায়। কী ধরনের পোশাক পরবেন তাঁরা? ডিজাইনার অভিষেক রায়ের মতে, “এই সময় কোন পোশাক পরে আরাম লাগছে, কোনটায় সবচেয়ে ‘কমফরটেবল’ বোধ করছেন, সেটাই আসল কথা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খুব দ্রুত চেহারার পরিবর্তন ঘটে। ফলে শরীরের সঙ্গে মানানসই পোশাক বেছে নেওয়াটা দরকারি। সে ক্ষেত্রে ফ্রি ফ্লোয়িং পোশাক একদম পারফেক্ট’’, বললেন অভিষেক।
এখনকার হবু মায়েরা আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। এমনটাই মত ডিজাইনার অনুশ্রী মলহোত্রর। ফলে তাঁদের জন্য বাজারের এসেছে নানা রকমের স্টাইল। অনুশ্রীর মতে, ‘‘এখনকার হবু মায়েরা ‘বেবি বাম্প’ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইনাররাও এখন নতুন ধরনের ম্যাটারনিটি কাট পোশাক বানাচ্ছেন।’’ তাঁরও মত, ঢিলে পোশাক এই হবু মায়েদের জন্য খুব আরামদায়ক আর ফ্যাশন-পারফেক্ট হয়ে উঠতে পারে।
হবু মায়েরা ঢিলেঢালা বা ‘অ্যান্টি ফিট’ পোশাক পরতে পারেন। পাশাপাশি শীতের মরসুমে তাঁদের জন্য আদর্শ একাধিক লেয়ারের পোশাক। এমনটাই বলছেন অভিষেক। তাঁর পরামর্শ, ‘‘গরমের সময় বেশি লেয়ারড পোশাক পরা যাবে না। তখন লেয়ার কমিয়ে অ্যান্টি ফিট পোশাক বেছে নিতে পারেন মায়েরা। তাতে নানা ধরনের প্রিন্ট থাকতে পারে। যা তাঁদের দারুণ মানাবে।’’ এখন অনেক হবু মা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফটোশ্যুট করান। ‘‘সে সব ক্ষেত্রে তাঁরা বেছে নিতে পারেন কাফতান ড্রেস। এই ধরনের পোশাকেও তাঁদের দারুণ মানাবে’’, মত অনুশ্রীর।
আরও পড়ুন: উপকারের সঙ্গেই কি ক্ষতি করছে জীবাণুনাশক স্প্রে?
ফ্যাশনের চাবিকাঠিটা লুকিয়ে থাকে ‘কমফর্ট’ বা আরামের মধ্যেই, এ বিষয়ে সব ডিজাইনারই এক মত। শুধুমাত্র বিরাট কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠার জন্য জবরজং পোশাক না পরে, এমন পোশাক পরুন, যা আপনাকে চলাফেরা করতে দেবে, স্বাভাবিক কাজ করতে দেবে। ‘বেবি বাম্প’-এর নতুন পোশাকে এই মুহূর্ত ধরা থাক স্মৃতিতে।
আরও পড়ুন: কোভিডের অ্যান্টিবডি শরীরে? বোঝা যাবে এই লক্ষণগুলি থেকে