আলোর উৎসব দীপাবলি। সারা দেশ আলোর রোশনাইয়ে সাজে এ দিন। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতে এই উৎসবের উদ্যাপন হয় না।
ভারতের মতোই বহু দেশেই পালন করা হয় এই আলোর উৎসব। দেখে নেওয়া যাক সেই দেশগুলি কী কী।
ইন্দোনেশিয়া: প্রতি বছরই দীপাবলি উদ্যাপিত হয় এ দেশে। শুধু তাই নয়, এই দিনটি সরকারি ছুটিও। ফলে সাধারণ মানুষ সহজে এই উৎসবে অংশ নিতে পারেন।
ফিজি: এখানে প্রচুর ভারতীয়। তাঁদের হাত ধরেই এ দেশে পৌঁছেছে দীপাবলি। এখন এটি গোটা ফিজিরই উৎসব।
মালয়েশিয়া: এ দেশে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ। কিন্তু দীপাবলি পালন করা হয় পুরোদস্তুর। পরস্পরকে নানা উপহার দেওয়া, মিষ্টি খাওয়ানোর চল রয়েছে এ দিন।
মরিশাস: এ দেশেও প্রচুর ভারতীয়। তাঁদের মাধ্যমেই এখানে পৌঁছেছিল দীপাবলি। এখন সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।
নেপাল: দেশের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান এটি। এ দিন আতশবাজি, আলোর উদ্যাপন যেমন হয়, তেমনই হয় লক্ষ্মীপুজোও। তবে এর পাশাপাশি দীপাবলির দিন নেপালে বিভিন্ন পশুর পুজোও করা হয়।
শ্রীলঙ্কা: দীপাবলির আলোর রোশনাই এ দেশেও কম নয়। তবে এখানে মূলত বাড়িতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোর উৎসব পালন করা হয়।
কানাডা: সরকারি ছুটির দিন নয়, কিন্তু সারা দেশেই পালন করা হয় আলোর উৎসব। আতশবাজি থেকে প্রদীপ— দীপাবলির রাতে গোটা দেশ সেজে ওঠে আলোয়।
সিঙ্গাপুর: দীপাবলির রাতটা এই দেশে কাটালে মনে হবে না, ভারতের বাইরে অন্য কোনও দেশে আছেন।
ইংল্যান্ড: এ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে জোরদার ভাবে দীপাবলি পালন করা হয়। শুধু আলো নয়, তার সঙ্গে থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো: এই দেশেও প্রচুর ভারতীয় থাকেন। তাঁদের সূত্রেই এখানে পৌঁছেছে দীপাবলি। পালনও করা হয় জোরদার ভাবে। জ্বালানো হয় প্রদীপ। পোড়ানো হয় আতশবাজি।
তাইল্যান্ড: এ দেশেও পালন করা হয় আলোর উৎসব। তবে দীপাবলির দিনে নয়, দেশের নিয়ম অনুযায়ী অন্য একটি দিনে পালন করা হয় এই উৎসব।