‘সীমা’ যখন হায়দর। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোন সীমান্ত রয়েছে? তার দৈর্ঘ্য কত? দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের উত্তর দেখে হাসির রোল উঠল সমাজমাধ্যমে। সমাজমাধ্যমে হিন্দি ভাষায় একটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উত্তরপত্রের ছবি ছড়িয়ে পরেছে। উত্তরপত্রে দেখা মিলল সংবাদমাধ্যমে কয়েক মাস আগেই চর্চায় থাকা ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দরের প্রসঙ্গ। দ্বাদশ শ্রেণির এক জন ছাত্র উত্তরপত্রে লেখে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে হায়দর, যাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
হিন্দিতে সীমান্তর অর্থ হল ‘সীমা’। তাই প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোন ‘সীমা’ রয়েছে। জবাবে ছাত্র লেখে হায়দর। কয়েক মাস আগেই ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দর। তাঁকে ঘিরে সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যম দুই-ই উত্তাল ছিল বেশ কিছু দিন। সেই বধূর প্রসঙ্গই উঠে আসে ছাত্রের উত্তরপত্রে। সমাজমাধ্যমে এই ভাইরাল উত্তরপত্রটি আসলে বাসেরির বাগথার উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
প্রসঙ্গত, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় ২০১৯ সালে ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সীমার। সেখান থেকে প্রেম। ২২ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা। শুধু একা নন। সঙ্গে ছিল তাঁর চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম। ভিসা ছাড়া নেপালের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাঁকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তাঁরা। সীমার ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য। অনেকেই সীমাকে পাকিস্তানেন গুপ্তচর বলে মনে করেছিলেন। জট ছাড়াতে তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সীমা আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ পাক বধূ, না কি পাকিস্তানি গুপ্তচর, তা-ই খুঁজে বার করতে এখনও তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা।