গোলাপজলের যেমন নিজস্ব গন্ধ রয়েছে, কেওড়ার জলে কিন্তু তা নেই। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে বিরিয়ানি কিংবা চাঁপ রান্না করবেন, অথচ কেওড়ার জল দেবেন না, তা কী করে হয়! অনেকেরই ধারণা, গোলাপজল এবং কেওড়ার জল বোধ হয় একই। তা একেবারেই নয়। গোলাপজল তৈরি করা হয় গোলাপ ফুলের পাপড়ি থেকে। আর কেওড়ার জল তৈরি করতে লাগে কেতকী ফুলের পাপড়ি। তবে গোলাপজলের যেমন নিজস্ব গন্ধ রয়েছে, কেওড়ার জলে কিন্তু তা নেই। মোগলাই বেশ কিছু খাবারের স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই জল। বিশেষ কিছু মিষ্টিতেও কেওড়ার জল ব্যবহার করার চল রয়েছে।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয় কেওড়ার জল। কারণ, বিশেষ এই জলটিতে ট্যানিন, ক্যারোটিনয়েড, আইসোফ্ল্যাভোনয়েড, গ্লাইকোসাইডের উপাদান রয়েছে। যা র্যাশ, ব্রণ, সোরিয়োসিস এবং এগজ়িমার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তুলতে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় কেওড়ার জল।
১) রূপচর্চা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন যাঁরা, তাঁদের মতে, ওপেন পোর্সের সমস্যা থাকলে কেওড়ার জল ব্যবহার করা যায়। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তুলোর সাহায্য মুখে মাখতে পারেন কেওড়ার জল।
২) শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে কেওড়ার জল দারুণ কার্যকরী। মুখের মৃত কোষ দূর করতে যে এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে কেওড়ার জল মিশিয়ে নিলে উপকার মিলবে দ্বিগুণ।
৩) কেওড়ার জলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। তাই চট করে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না কেওড়ার জল ব্যবহার করলে। কম বয়সে মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না এই জল।