প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয়টি কোথায় আলাদা? ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ বা ঢেউয়ের কথা সর্বত্র বলা হচ্ছে। কিন্তু এই দ্বিতীয় ঢেউ বা তরঙ্গ আসলে কী? অতিমারির ইতিহাস কী বলছে দ্বিতীয় তরঙ্গের বিষয়ে?
‘অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ’ কথাটি বারবার শোনা গেলেও, আসলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর কোনও যথাযথ সংজ্ঞা নেই। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯২ পর্যন্ত চলা ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় থেকে এই ‘দ্বিতীয় তরঙ্গ’ বা ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ কথাটি চলে আসছে। এক বার সংক্রমণের মাত্রা প্রায় তলানিতে পৌঁছে যাওয়ার পরে আবার ফিরে এসেছিল এই রোগটি। তখন সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে ‘দ্বিতীয় তরঙ্গ’-এর নাম দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিমারির ভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পর, যদি পরে আবার সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকে, তা হলে তাকে দ্বিতীয় ঢেউ বলে ধরে নেওয়া যায়। এ বিষয়ে গণিতের একটি রেখাচিত্রও দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। সেই রেখাচিত্রে ব্যাখা করা হয়েছে, প্রথম তরঙ্গের পর সংক্রমণের যে ধীর গতির সময় আসে, তখনই অতিমারি দ্বিতীয় তরঙ্গের বীজ বপন করে।
হালে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা প্রবল। যদিও জীবাণুবিদ এবং অতিমারির গবেষকরা বলছেন, একটা দেশের বিচারে এই তরঙ্গগুলির গঠন যেমন হবে, ছোট ভৌগলিক এলাকার ভিত্তিতে তা নাও হতে পারে। যেমন ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলেও দিল্লির মতো জায়গায় সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তাকে চতুর্থ বা পঞ্চম ঢেউও বলা যেতে পারে।