ক্লান্তি কাটাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত
বাড়ি থেকেই কাজ করছেন বেশির ভাগ মানুষ। মুঠোফোনে ঘন ঘন বার্তা বা ই-মেল। ল্যাপটপে কাজ এবং একের পর এক মিটিং। কাজ শেষ হয়েও হয় না। তখন বাকি কাজ চলতে থাকে নোটপ্যাড বা ট্যাবে। সারাক্ষণই আমরা কোনও না কোনও পর্দার দিকে তাকিয়ে বসে আছি। তাতে বাড়ছে আমাদের ক্লান্তি, কমছে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা। এর প্রভাব পড়ছে কাজে। আবার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও। কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এর হাত থেকে? প্রযুক্তিই কি সাহায্য করতে পারে আমাদের?
মিটিংয়ের মধ্যে বিরতি
মাইক্রোসফ্ট একটি নতুন ব্যবস্থা এনেছে যেটার সাহায্যে সেটিংয়ে গিয়ে আপনি আপনার যাবতীয় মিটিং পরিকল্পনা করতে পারেন। মিটিংগুলো ফেলার সময় স্বাভাবিক ভাবেই দু’টো মিটিংয়ের মধ্যে ৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। দেখা গিয়েছে পরপর এক টানা মিটিং করলে মানুষের মনোযোগ কমে যাচ্ছে। কিন্তু বিরতি পেলে তাঁদের মস্তিষ্ক অনেক দ্রুত কাজ করছে।
কাজের মাঝে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিন
ইদানীং বেশির ভাগ কর্মরতা মানুষের সারা দিনের পরিকল্পনা করা থাকে ফোনের ‘রিমাইন্ডার’ অথবা গুগ্ল ক্যালেন্ডারে। সেটা দেখলেই বোঝে যাবে দিনের কোন সময়গুলো আপনি একটু বিরতি পাচ্ছেন। সেই সময় অন্য কাজ রাখবেন না। নিজের জন্য সময় বার করুন। কাজ আর ব্যক্তিগত সময়ের বিভেদটা ভাল করে বুঝে নিতে সাহায্য করবে আপনার স্মার্টফোনের ক্যালেন্ডারই।
প্রত্যেক দিনের সময় বেঁধে নিন
আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ ভিডিও কলে। কাজের যাবতীয় কথাবার্তা ফোন বা ই-মেলে। তারপরেও আমরা সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ব্যস্ত। অথচ চোখ বিরতি পাচ্ছে না। সারাক্ষণ কোনও না কোনও পর্দায় তাকিয়ে। স্বাস্থ্যের পক্ষে এটা কতটা ক্ষতিকর, তা এখনই আমরা ধারণা করতে পারছি না। কিন্তু অবিলম্বে এর বদল হওয়া প্রয়োজন। আইফোনের ‘স্ক্রিনটাইম’ এবং অ্যান্ড্রয়েডের ‘ডিজিটাল ওয়েল বিয়িং টুল’ আপনাকে রোজ নির্দিষ্ট সময়ের পর মনে করিয়ে দেবে ফোন দূরে রাখতে। গুগ্ল একটি নতুন ব্যবস্থা আনছে যেখানে, ফোন আপনাকে বলে দেবে আপনি হাঁটছেন, ফোন সরিয়ে রাখুন।
ডিজিটাল ডিটক্স
যাঁদের ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য হার্ডওয়্যারের সমাধান রয়েছে। বাজারে আসছে লাইট ফোন। যেখানে কল আসবে, বার্তা পাঠাতে পারবেন, ই-মেল খুলতে পারবেন। কিন্তু কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সেখানে থাকবে না। বিদেশে অনেক জায়গায় এই ফোন বাজারে এসে গিয়েছে। অনেকেই সপ্তাহান্তে এটি ব্যবহার করেন যাতে দু’দিনের জন্য হলেও এই চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।