Unhappiest Jobs

অফিসে গেলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়? কাজে তৃপ্তি পান না কারা? বেশি সমস্যা হয় কাদের?

নিজের কাজ এবং কর্মস্থল নিয়ে নানা রকম সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু কেউ তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কতটা যোগাযোগ রেখে চলতে পারেন, তার উপরেও নির্ভর করে তাঁর ‘জব স্যাটিসফ্যাকশন’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৬
Share:

দলবদ্ধ হয়ে বা একসঙ্গে কাজ করতে না পারাই হল এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শাস্তি। ছবি- সংগৃহীত

ইংরেজিতে ‘জব স্যাটিসফ্যাকশন’ বলে একটি শব্দবন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ কর্মরত মানুষের ক্ষেত্রেই যে কথাটি প্রায় সোনার পাথরবাটির মতো। হয় কাজ নিয়ে, না হয় কাজের পরিবেশ নিয়ে সমস্যা থাকে অনেকের মধ্যেই। তাই উদয়াস্ত খেটে কাজ করার পরও সেই সুখ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী কাজ কি জানেন? হালের গবেষণা বলছে, দলবদ্ধ হয়ে বা একসঙ্গে কাজ করতে না পারাই হল এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শাস্তি।

Advertisement

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৩৮ সাল থেকে প্রায় ৮৫ বছর ধরে ৭০০ মানুষের উপর চলা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দলগত ভাবে কাজ করতে পারেন না, তাঁরাই নিজেদের কাজ নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসুখী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক ও চিকিৎসক রবার্ট ওয়াডিঙ্গার জানিয়েছেন, কর্মজীবনে সুখ এবং শান্তির গোপন রহস্য হল জোট বেঁধে কাজ করা। কারণ, কর্মক্ষেত্রে এই ‘টিমওয়ার্ক’ একতা বা কাজের মান উন্নত করে। মানসিক ভাবেও কর্মীদের দৃঢ় করে তোলে।

Advertisement

গবেষণায় বলা হয়েছে, অফিসে যে সকল কর্মীকে অসুখী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান না। রবার্টের মতে, কোনও ব্যক্তি তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কতটা যোগাযোগ রেখে চলতে পারেন, তার উপরেও নির্ভর করে তাঁর ‘জব স্যাটিসফ্যাকশন’। করোনা অতিমারিতে দীর্ঘ দিন বাড়ি থেকে কাজ করার পর কর্মীদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছে অনেক বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement