কোন ওয়াটার পিউরিফায়ার দেবে পরিস্রুত পানীয় জল? ছবি: সংগৃহীত
ইদানীং বাজারে নানা ধরনের ওয়াটার পিউরিফায়ার এসেছে। পরিস্রুত পানীয় জল পাওয়ার জন্য এখন সে সবের উপরেই মূলত ভরসা করেন অনেকে। কিন্তু বাড়িতে নতুন ওয়াটার পিউরিফায়ার কিনতে গিয়ে সমস্যাতেও পড়েন। এত রকম মডেলের মধ্যে কোনটি ভাল, তা বুঝবেন কী করে! এক একটির এক এক রকম গুণের কথা শোনা যায়। বিজ্ঞাপন দেখলে আরওই গুলিয়ে যায় সব। তা হলে কোন পিউরিফায়ারটি বাড়ির জন্য ঠিক হয়, তা বুঝবেন কী করে?
১) জলের মান
যে অঞ্চলের জন্য ফিল্টার কিনছেন, সে জায়গার জলের মান কেমন, তা দেখে তবেই ফিল্টার পছন্দ করুন। যদি কারও বাড়ি শিল্পাঞ্চলের আশপাশে হয়, তা হলে সেই অঞ্চলের জলে ধাতুর পরিমাণ বেশি থাকা স্বাভাবিক। কেনার সময় সে কথা মাথায় রাখুন।
২) প্রক্রিয়া
প্রতিটি ফিল্টার কার্যকারিতার দিক থেকে আলাদা। যেমন ‘রিভার্স অসমোসিস’, ‘অ্যাক্টিভেটেড কার্বন’, ‘ইউভি’— এই সব বিষয় সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিন। তার পর নিজের প্রয়োজন অনুয়ায়ী পিউরিফায়ার পছন্দ করুন।
ওয়াটার পিউরিফায়ার কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন? ছবি: সংগৃহীত
৩) প্রতি দিনের ব্যবহার
প্রত্যেক বাড়ির সদস্যসংখ্যা আলাদা। সেই অনুযায়ী জল খরচের পরিমাণও কমবেশি হয়। কোন পিউরিফায়ার এক দিনে গড়ে কত লিটার পর্যন্ত জল পরিশোধন করতে পারে, তা দেখে ফিল্টার পছন্দ করুন।
৪) খরচ
কোনও যন্ত্রই একটানা কাজ করে যেতে পারে না। তার রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। কেনার আগে জেনে নিন, নির্দিষ্ট কিছু সময় অন্তর এই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেমন খরচ হতে পারে। যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গেলে তা বাজারে পাওয়া যায় কিনা, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
৫) শংসাপত্র
যন্ত্রের গুণগত মান কেমন, তা বিচার করে সেই যন্ত্রটিকে সরকারি ভাবে একটি বৈধ শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই শংসাপত্র পেতে গেলে যন্ত্রটিকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কেনার আগে সে সব বিষয়ে জেনে রাখতে পারলেও ভাল।