প্রতীকী ছবি।
কেউ বলে বিয়ের বয়স হয়ে গেল। এর পরে দেরি হয়ে যাবে। কেউ আবার বলে বিয়ের কোনও বয়স হয় না।
আর এ সব নিয়েই চলতে থাকে চর্চা। কেউ বিয়ে করেন ২৫ বছর বয়সে, কেউ বা ৩৭-এ অপেক্ষা করেন মনের মতো সঙ্গীর দেখা পাওয়ার জন্য। কিন্তু অপেক্ষা করলেই বিপদ। বয়স যত বাড়তে থাকে, সমাজের মাথাব্যথাও বাড়ে।
বিয়েবাড়ি হোক বা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান— চর্চার কেন্দ্রে পড়ে যান অবিবাহিত ব্যক্তি। যত দিনে তিনি ৪০ ছঁইছুঁই, আশপাশের লোকজন প্রায় হতাশ। হাল ছেড়ে দিয়েছেন, বিয়ে আর হল না ভেবে।
এই ভাবনা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেও বিপদ। তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নানা যুক্তি সাজানো রয়েছে সমাজে। মেয়েদের ক্ষেত্রে মা হওয়ার সুবিধা। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সংসার গোছাতে শুরু করা উচিত বয়স কম থাকতে থাকতে। এমন কত কথাই যে ধেয়ে আসে। এ সব শুনে মনও খানিক অস্থির হয়ে ওঠে।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু দেরিতে বিয়ে করারও ভালও দিক রয়েছে। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি কথা। যাতে অন্যের তাড়ায় ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে বসেন।
১) সময় নিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তাতে খারাপ লাগার আশঙ্কা কম। যাঁর সঙ্গে বাকি জীবন কাটাবেন, তাঁকে বুঝে নেওয়া জরুরি। কম বয়সে বিয়ে করলে তার সুযোগ বেশি মেলে না।
২) বয়সের সঙ্গে নিজের প্রয়োজনের জায়গাগুলিও স্পষ্ট হয়। সমাজ যাকে আপনার জন্য ভাল বলবে, তেমন মানুষের প্রতি ভুল করে আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমে। নিজের পছন্দ গুরুত্ব পায়। বিয়ে তাতে সুখের হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৩) কর্ম জীবনও বয়সের সঙ্গে পোক্ত হয়। নিজে কর্মক্ষেত্রে থিতু হয়ে গেলে সংসারে সময় দেওয়ার ইচ্ছাও বাড়ে। সঙ্গী গুরুত্ব পান। দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া ভাল হতে পারে এর মাধ্যমে।
বিয়ের বয়স সত্যিই হয় না। ঠিক মানুষটির সঙ্গে দেখা হওয়াই সবচেয়ে জরুরি।