প্রতীকী ছবি।
চটজলদি ওজন কমাতে সবার আগেই বদলে ফেলতে হয় ডায়েটের রোজনামচা। আর সেই ডায়েট মেনেই অনেকে সকালে প্রাতরাশের টেবিলে ওটস খেতে শুরু করেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরেনর খনিজ পুষ্টির উপাদান। সবচেয়ে বড় কথা ওটসে একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। অনেকেই ওটসের পুষ্টিগুণ বাড়াতে এর সঙ্গে পছন্দের ফল মেশান। কিন্তু এই ওটস খেয়েও যখন ওজন কমে না, তখন ধরেই নিতে হয়, ওটস খাওয়ার ধরনে কোনও গলদ রয়েছে।
প্রতীকী ছবি।
কী কী ভুল করছেন?
১) দেখে নিন কোন ধরনের ওটস কিনছেন। কারণ বাজারে তিন ধরনের ওটস পাওয়া যায়। স্টিল কাট ওটস, রোলড ওটস এবং ইনস্ট্যান্ট ওটস। এদের মধ্যে স্টিল কাট ওটস কেনাই সবচেয়ে ভাল। এতে বাকি দু’টির মতো রাসায়নিক মেশানো থাকে না। আবার এতে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। ওজন কমাতে হলে স্টিল কাট ওটস কিনুন।
২) একেবারেই অনেকটা পরিমাণ ওটস খেয়ে ফেলছেন? এটাও কিন্তু হতে পারে ওজন না কমার কারণ। ওটস এমনিতেই দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি করে রাখতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে ও ক্যালোরি মেপে ওটস খান। দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ প্রাতরাশেই সবচেয়ে বেশি ক্যালোরির প্রয়োজন।
৩) ওটমিল বানানোর সময়ে চিনি দেন? চিনি মিশিয়ে ওটস খেলে রোগা হওয়ার কথা কিন্তু আপনাকে ভুলতে হবে। একান্তই যদি মিষ্টি কোনও কিছু মেশাতে চান, তা হলে মধু বা ম্যাপেল সিরাপ মেশাতে পারেন। তার বদলে ওটসের সঙ্গে পছন্দের ফল, বাদাম মেশাতে পারেন। তবে মিষ্টি ফল বা খেজুরও কিন্তু হতে পারে চিনির বিকল্প।
৪) রোগা হতে চাইলে দই বা দুধ দিয়েই ওটস খান। ওটসের খিচুড়ি, ওটসের উপমা বা ওটসের কুকিজ খেতে সুস্বাদু হলেও, এতে মশলা থাকায় এগুলি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তেমন সহায়ক নয়।