হালকা সাজেই নজর কেড়েছেন তারকা প্রার্থীরা।
বেহালা পশ্চিমের বিজেপির প্রার্থী শ্রাবন্তী। কখনও হালকা রঙের সালোয়ার স্যুট, কখনও সুতির শাড়ি, ভরা গরমে প্রচার করার সময় এই ছিল তাঁর রোজকার পোশাক। ব্লক প্রিন্টের শাড়ির সঙ্গে বিপরীত রঙের লম্বা-হাতা ব্লাউজেই বেশি দেখা গিয়েছে শ্রাবন্তীকে।
বাঁকুড়া বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী সায়ন্তীকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের সাজ বেশি ছিমছাম। সুতির সালোয়ার স্যুটই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। চিকন, ব্লক প্রিন্ট, টাই-অ্যান্ড-ডাই, খাদি—সব রকমের সালোয়ার তিনি পরেছেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। অবশ্য বাংলার সুতির শাড়ি এবং থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজেও তাঁকে দেখা গিয়েছে অনেকবারই। নিত্য সঙ্গী ছিল চোখের রোদচশমা।
প্রচারে শাড়ি আর ফুল-হাতা ব্লাউজই বেশি বেছে নিয়েছিলেন পায়েল সরকার। বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থীর সাজ আর পাঁচজন প্রার্থীর চেয়ে আলাদা একটা জায়াগায়। বাহারী ব্লাউজ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কখনও লেস দেওয়ার, কখনও চেক, কখনও আবার ব্লক প্রিন্টের।
কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। প্যাস্টেল শেডের সুতির সালোয়ারেই তাঁকে দেখা গিয়েছে প্রচারে। গোলাপি, হালকা নীল, কচি-কলাপাতা সবুজ— এই ধরনের রঙই যে গরমে বেছে নিয়েছিলেন কৌশানী, তা স্পষ্ট। রোদচশমা সঙ্গে ছিল সারাক্ষণ।
হ্যান্ডলুমের রঙিন শাড়ি আর লম্বা-হাতা ব্লাউজ পরে প্রচারে দেখা গিয়েছিল হাওড়ার শ্যামপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। বেশির ভাগ সময় রঙ মিলিয়ে এক-রঙা ব্লাউজ পরলেও কখনও কখনও ইক্কতের রংবেরঙের ব্লাউজের সাজেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দক্ষিণ আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচারের সাজ ছিল সুতির শাড়ি, রং মিলিয়ে ছোট-হাতা ব্লাউজ এবং হাতে মেটালিক ঘড়ি। তবে তাঁর শাড়ির সংগ্রহে রয়েছে বৈচিত্র। কখনও এক-রঙা, কখনও চেক, কলমকারী, খেশ, দেখা গিয়েছে সব রকমই।
এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে যখন এতজন তারকা রয়েছেন, তখন প্রচারের সাজ তো গ্ল্যামারাস হবেই। ছিমছাম সাজেও আলাদা করে নজর কেড়েছেন প্রত্যেকে।