কিছু ফল এবং সব্জি খোসা সহ খান। ছবি: সংগৃহীত।
সব্জি কিংবা ফল কাটার সময় সবচেয়ে আগে খোসাটাই ফেলে দেওয়া হয়। অথচ পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, খোসাতেই থাকে সর্বোচ্চ পুষ্টি। খোসা ফেলে দেওয়া মানে অর্ধেক স্বাস্থ্যগুণ থেকে শরীর বঞ্চিত হয়। কিন্তু সব সব্জি কিংবা ফল খোসা সহ খাওয়া যায় না। তবে এমন কয়েকটি সব্জি এবং ফল আছে, যা খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা কিংবা খাওয়া উচিত নয়। কোনগুলি জানেন?
বেগুন
বেগুনের খোসাতে ‘নাসুনিন’ নামের একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। কোষের ক্ষয় রুখতে এবং বিভিন্ন বয়সজনিত অসুখবিসুখে এটি খুবই কার্যকরী। বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে খেলে তা অকাল-বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই অনেক কঠিন হয়ে যায়।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি, বেটাক্যারোটিন এবং পটাশিয়াম। ফলে তা ছাড়িয়ে খেলে এই উপাদানগুলি কিন্তু বাদ পড়ছে ডায়েট থেকে। অথচ শরীরের যত্নে এগুলি অত্যন্ত জরুরি।
শসা
শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খুবই কাজে দেয় শসা। রোজের স্যালাডেও তাই শসা রাখতে পারেন।
খোসা না ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে গাজর রান্না করা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
গাজর
শসার মতো গাজরেও খোসাতেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো গাজর খেলে তার পুষ্টিগুণ ব্যাহত হয়। খোসা না ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে গাজর রান্না করা উচিত।
আপেল
হজমের গোলমাল হয় বলে অনেকেই আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খান। আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। খোসা ছাড়ালে তা নষ্ট হয়ে যায়। আপেলের খোসার মধ্যে ভিটামিন সি সহ ‘ট্রিটারপেনয়েডস’ রয়েছে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী।