রান্নাঘরের ছুরিরা। ছবি: শাটারস্টক।
মাংসের আলু যে ভাবে চান, ঝিরিঝিরি ভাজায় নিশ্চয়ই তা আলাদা রকম হবে, আবার আলুর ছেঁচকির আলু হবে অন্য রকম দেখতে। শুধু আলু নয়, সব সব্জিই তরিতরকারি অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাবে কাটতে হয়। মাছের ফিলে কিংবা মাংসের কিমা তার কৌশল আবার আলাদা।
রান্নার প্রয়োজনেই নানা রকম সব্জি ও মাছ-মাংস কাটার জন্য বিভিন্ন ছুরি ব্যবহার করতে পারেন। এ সব ছুরির জাদুতেই এক এক পদের জন্য এক এক রকম আনাজ বা মাছ-মাংস কেটে নেওয়া অনেক সহজ হয়। রান্নার স্বাদেও তার প্রভাব পড়ে।
একটু বড় দোকানে বা অনলাইনে ঢুঁ মারলেই মিলবে মিন্সিং নাইফ, ক্লিভার, পিলারের মতো নানা ছুরি। কোন ছুরি কী কাজে লাগে, রইল হদিশ।
আরও পড়ুন: চিনির কৌটোয় পিঁপড়ে হচ্ছে, জমাট বেঁধে যাচ্ছে নুন? এ সব মানলে রান্নাঘরের সব উপকরণ থাকবে সতেজ
মিন্সিং নাইফ: এটি দেখতে সাধারণ ছুরির মতো নয়। খানিকটা ছোট চপারের মতো দেখতে এই ছুরির দুই হাতলে ভর দিয়ে সহজেই মাংসের কিমা করে নিতে পারেন।
পিলার: আনাজও কাটব, অথচ হাত কাটার ভয়ও থাকবে না, এমন চাইলে পিলার হতে পারে সেরা বিকল্প। যে কোনও আনাজের খোসা ছাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন: দরকারি বিষয় কিছুতেই মনে রাখতে পারছেন না? কেন হচ্ছে এমন, কী ভাবেই বা রুখবেন?
ইউটিলিটি নাইফ: এর অন্য নাম ‘মিনি শেফ’স নাইফ’। ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা হয় এটি। সব ধরনের আনাজই ডুমো ডুমো করে বা বড় টুকরো করে সহজেই কেটে নেওয়া যায় এতে।
বোনিং নাইফ: মাছের ফিলে বার করার সময় এর কাঁটা তোলা, বোনলেস মাংস বার করতে হাড় থেকে মাংস আলাদা করা নানা কাজে লাগে এই ছুরি। লম্বায় ৩-৮ ইঞ্চি হয়।
ক্লিভার: এটি রান্নাঘরের সবচেয়ে মোটা ও ভারী ছুরি। দোকান থেকে কেনা বিরিয়ানির মাংসের টুকরো মনের মতো না হলেও হাড়-সমেত টুকরো এতেই কেটে নিতে পারেন। বড় ও শক্ত কোনও সব্জি বা ফলও কাটতে পারেন ক্লিভারের সাহায্যে।
শিয়ার্স: মিহি করে কাটা যে কোনও সব্জির জন্য শরণ নিতে হবে এই ধারালো ও সরু ছুরির।
ব্রেড নাইফ: আজকাল ব্রেড লোফ বা আইসক্রিমের বার কেটে কেটে খাওয়ার জন্য অনেক শৌখিন বাড়িতেই ব্রেড নাইফ ব্যবহার করা হয়।