সোডা লাইম হজমের কাজে সাহায্য করে বলে প্রায়ই ভারী খাওয়াদাওয়ার পর সোডা লাইমে ভরসা রাখেন অনেকেই। তেষ্টা মেটাতেও শরবতে সোডা ওয়াটারের ব্যবহার নতুন নয়।
কিন্তু জানেন কি, আধুনিক রূপচর্চায় ত্বকের যত্নে সোডা ওয়াটারের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে? বিদেশে এই চল আগে থেকে থাকলেও এ দেশে ততটা প্রচলন ছিল না। তবে সম্প্রতি এই কায়দা সকলের মন জয় করেছে।
রূপবিশেষজ্ঞ রূপকথা সরকারের মতে, “স্পার্কলিং সোডা ওয়াটার দিয়ে ত্বকের যত্ন এখন ট্রেন্ডি। ত্বককে মসৃণ রাখতে ও মেক আপের পর ত্বকে আলাদা জেল্লা চাইলে এই স্পার্কলিং সোডা ওয়াটার খুবই কার্যকর।’’
সোডা ওয়াটার ত্বকের নীচের রক্তবাহ শিরা-উপশিরার উপর প্রভাব বিস্তার করে, রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে। ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহও বৃদ্ধি পায়। ট্যানিংয়ের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুধু তা-ই নয়, মুখের বলিরেখা ও ব্রণ আটকাতেও এই সোডা ওয়াটার খুব কার্যকর। ত্বকের গভীরে পৌঁছে পরিষ্কার করার ক্ষমতা সোডা ওয়াটারের আছে। তাই ত্বকের পিএইচের ভারসাম্যও বজায় রাখে এটি।
কিন্তু এই বিশেষ উপাদানে ত্বকচর্চার কি আলাদা করে কোনও নিয়ম আছে? কী ভাবেই বা ব্যবহার করতে হবে এই সোডা ওয়াটার আর দিনে কত বারই বা সোডা ওয়াটার ব্যবহার করবেন, জানেন? পরামর্শ দিচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞ রূপকথা সরকার।
যে কোনও ব্র্যান্ডের সোডা ওয়াটার দিয়েই এই ত্বক পরিচর্যার কাজটি করা যায়। সোডা ওয়াটার কিনে এনে ফ্রিজে রেখে দিন কিছু ক্ষণ। ঠান্ডা সোডা ওয়াটারের ঝাপটা মেরে মুখটা ভিজিয়ে নিন।
ভেজা মুখের উপরেই আপনার ব্যবহৃত ফেসওয়াশ লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন ও ফের সোডা ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখ। জলের জায়গায় স্রেফ সোডা ওয়াটার ব্যবহার করলেই তফাতটা বুঝতে পারবেন।
তবে এই পদ্ধতি প্রতি দিন অবলম্বন করার প্রয়োজন নেই। বরং সপ্তাহে এক-দু’বার এই পদ্ধতিতে মুখ ধুলেই সোডা ওয়াটারের প্রভাবে ত্বকের যত্নের অনেকটাই সেরে ফেলবেন।
তবে সোডা ওয়াটারের সঙ্গে আরও এক উপকরণ মিশিয়ে ত্বকের টোনিংয়ের কাজও সেরে ফেলতে পারেন সহজেই। বিশেষ করে রোদে বা ভ্যাপসা গরমে বেরনোর আগে সোডা ওয়াটারের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ঠান্ডা করে রাখা গ্রিন টি। এ বার ওই মিশ্রণ তুলো দিয়ে মুখে মাখুন।
এই অবস্থায় কিছু ক্ষণ রেখে তার উপর প্রসাধনী ব্যবহার করুন। ত্বকের টোনিংয়ে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। মেক আপের আগে এই পদ্ধতিতে ত্বক টোন্ড হলে ঘাম কম তো হবেই, মেক আপ টিকবেও বহু ক্ষণ।