একটানা টাইপ করলেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে আঙুলের ব্যথা বশে থাকবে। ছবি: সংগৃহীত।
১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অফিসে কাজ করেন। তার মধ্যে বেশির ভাগ সময়েই কম্পিউটারে টাইপ করতে হয়। একটানা চেয়ারে বসে টাইপ করার ফলে ঘাড়, কোমরে ব্যথা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। চোখ থেকে ক্রমাগত জল পড়ার সমস্যাতেও ভুগতে হয় মাঝেমধ্যেই। তবে কিছু ক্ষণ টাইপ করার পর ইদানীং আঙুলের ডগাতে চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে। সুচ ফোটার মতো অনুভূতিও হয় অনেকের। চিকিৎসকেরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে একই ভাবে আঙুলের স্নায়ুর উপর ক্রমাগত চাপ পড়তে থাকলে এই ধরনের ব্যথা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে টাইপ করলেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে আঙুলের ব্যথা বশে থাকবে।
আঙুলের ডগায় ব্যথা? ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারে টাইপ করার পর আঙুলে যদি ব্যথা হয় কী করবেন?
১) একটানা আধঘণ্টা টাইপ করা যাবে না। যে কাজই করুন না কেন, ৩০ মিনিট পর ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য বিরতি নিতে হবে। এই অভ্যাসে শুধু যে আঙুলের আরাম হবে তা নয়, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, চোখেরও আরাম হবে।
২) হাতের নখ খুব বড় হয়ে গেলে কিবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগা স্বাভাবিক। সেখান থেকেও অনেক সময়ে আঙুলে ব্যথা হয়। মাউস নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তাই নখ কেটে ফেলাই শ্রেয়।
৩) অনেক সময় বসার দোষেও আঙুলে ব্যথা হয়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করতে গেলে চেয়ার-টেবিলের মাপ যদি ঠিক না হয়, সে ক্ষেত্রে ঘাড়, কাঁধে চাপ পড়বেই। সেখান থেকেই হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪) অনেকেই টেবিলের বাইরে অর্থাৎ, শূন্যে হাত ঝুলিয়ে টাইপ করেন। এই অভ্যাসেও কিন্তু হাতের কব্জি, আঙুলে ব্যথা বা়ড়তে পারে।
৫) আঙুলের ব্যথার নেপথ্যে কার্পল টানেল সিন্ড্রোম বা টেনিস এলবোর মতো রোগও থাকতে পারে। তাই সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।