আইফোনের ‘সেটিংসে’ কোন অপশনগুলি অন করে রাখতেই হবে? ছবি: শাটারস্টক।
তরুণ-তরুণী হোক কিংবা মাঝবয়সি কেউ— ইদানীং ভারতীয়দের মধ্যে আইফোন কেনার প্রবণতা বেশ বেড়েছে। মেট্রো রেল হোক কিংবা অফিস, আশপাশের লোকজনের হাতের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে আইফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কী হারে বেড়েছে! ২৫ বছর বয়সি সুমনা আইচ, পেশায় তিনি কনটেন্ট ক্রিয়েটার। ভাল ভিডিয়ো কোয়ালিটি পাওয়ার জন্য টাকা জমিয়ে এ বছরই আইফোন কিনেছেন। ৩৭ বছর বয়সি সুমেধা সেনগুপ্ত, আইটি সেক্টরে কর্মরতা। কয়েক মাস আগেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা বদলে আইফোন কিনেছেন তিনি। সুমেধার কথায়, “আইফোনে ছবিটা যে বড্ড ভাল আসে, তাই কিনেই ফেললাম!” শহরের এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ৪৭ বছরের অভিষেক রায়। দু’ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আইফোন ব্যবহার করছেন। তাঁর মতে, ‘‘ফোন থেকেই এখন নেট ব্যাঙ্কিং করি, আইফোন অন্যান্য ফোনের তুলনায় এই ব্যপারে অনেক বেশি সুরক্ষিত।
দাম দিয়ে আইফোন কিনলেন বটে, কিন্তু সেই ফোন যদি চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তখন আফসোস করা ছাড়া উপায় থাকে না! তবে সাধের আইফোন হারিয়ে গেলে কেবল অর্থের অপচয় হবে তা-ই নয়, আপনার অনেক জরুরি তথ্য, ফোটো, ইমেল সব হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। কেবল ফোন হারিয়ে গেলেই নয়, ফোন ভেঙে গেলেও তো সব তথ্য হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। একে ফোনের জন্য আফসোস, তার উপর জরুরি তথ্য হারিয়ে যাওয়ার চিন্তা— এ সব সমস্যা এড়াতে চাইলে ফোন ব্যবহারের সময়ে আগে থেকেই কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি। তা হলে ফোন হারিয়ে গেলেও অন্তত নিজস্ব জরুরি তথ্যগুলি উদ্ধার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে না।
আপনি যাতে নিজের ফোন ‘ট্র্যাক’ (অর্থাৎ সন্ধান ) করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে রাখুন
দীর্ঘ দিন ধরে আইফোন ব্যবহার করছেন কিন্তু সেই ফোনের ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ অপশনটি অন আছে কি না, সেটি লক্ষ করেছেন কি? এর জন্য আপনাকে প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে। তার পর ‘ফাইন্ড মাই’ অপশনে গিয়ে সেটি ‘অন’ বা চালু করতে হবে। এই অপশনটি ‘অন’ রাখলে আপনি আপনার ফোনকে সহজেই ‘ট্র্যাক’ করতে পারেন। আপনার বাড়িতে অন্য কোনও অ্যাপেলের ফোন না থাকলেও, অন্য যে কোনও অ্যানড্রয়েড ফোন থেকেও আপনি আইক্লাউড ওয়েবসাইট সাইন-ইন করেও আপনার আইফোনের খোঁজ করতে পারেন। তবে এই অপশনটিতে আপনাকে আইফোন একটি বড় এলাকার খোঁজ দেবে। নির্দিষ্ট লোকেশন জানতে সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসি অপশনে ক্লিক করুন। সেখান থেকে ‘লোকেশন সার্ভিসেস’ অপশনটি অন করুন। তার পর ‘মাই ফাইন্ড’ অপশনে গিয়ে ‘প্রিসাইজ় লোকেশন’ অপশনটি অন করতে ভুলবেন না।
সবার আগে চার অঙ্কের পাসওয়ার্ড বদলে ছয় অঙ্কের পাসওয়ার্ড দিন। ছবি: শাটারস্টক।
ফোনের সমস্ত তথ্যের ব্যাকআপ রাখুন
ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলির ব্যাকআপ রাখুন। এর জন্য আপনি ফোনের সেটিংসে যান। সেখানে গিয়ে নিজের নামে ক্লিক করুন। ‘আইক্লাউড ব্যাকআপ’-এ ক্লিক করুন, শেষে ‘ব্যাকআপ নাও’ সিলেক্ট করুন। ২০০ জিবি ব্যাকআপ রাখতে প্রায় ২১৯ টাকা খরচ পড়বে।
পাসওয়ার্ড বাছাই করুন বুঝেশুনে
সবার আগে চার অঙ্কের পাসওয়ার্ড বদলে ছয় অঙ্কের পাসওয়ার্ড দিন। ফোনের পাসওয়ার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। আপনি চাইলে ৬ সংখ্যারও বেশি পাসকোড ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে ‘চেঞ্জ ফেস আইডি অ্যান্ড পাসকোড’ অপশনে যান। নিজের পুরোনো পাসকোড দিন। এ বার ‘কাস্টম নিউমেরিক কোড’ অপশনে গিয়ে বেশি সংখ্যার পাসকোড বা পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন।
আইফোনের ‘ফেস আইডি’ অপশনটি সেট করুন
আইফোনে ফেস আইডি দিয়ে রেখেছেন? আপনি যখন ঘুমোচ্ছেন কেউ আপনার ফোন নিয়ে আপনার মুখের সামনে ফোনটি ধরে সেটি খুলে নিতেই পারে, আপনি টেরও পাবেন না। তাই আপনি ফোনের দিকে তাকালেই সেটি খুলবে সেই অপশনটি সেট করতে হবে। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে ‘চেঞ্জ ফেস আইডি অ্যান্ড পাসকোড’ অপশনে যান। নিজের সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিন। এ বার ‘রিকুআর্ড অ্যাটেনশন ফর ফেস আইডি’ অপশনটি ‘অন’ করে রাখুন।