আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন? সে না-ই করতে পারেন। কিন্তু তা বলে ভূতের গল্প ভাল লাগবে না, এমন নাও হতে পারে। আর সেই ভূতের গল্পের সঙ্গে যদি মেশে বেড়ানোর মজা? তা হলে তো কথাই নেই।
ভারতের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমনই বহু ভুতুড়ে জায়গা। আর সেই জায়গাগুলি নিয়ে নানা ভয়ের গল্প।
তেমনই গা ছমছমে কয়েকটি জায়গার কথা জেনে নেওয়া যাক। এ সব জায়গায় বেড়াতে গেলে একা যাবেন না কখনও। বিশেষ করে তালিকার শেষ জায়গাটিতে।
ডি’সুজা চল, মুম্বই, মহারাষ্ট্র: এক মহিলা এই এলাকার পাতকুয়োয় পড়ে মারা গিয়েছিলেন। এখনও রাতে তাঁর আত্মা এখানে আসে বলে অনেকের বিশ্বাস।
অগ্রসেন কি বাওলি, দিল্লি: পর্যটকদের অনেকে বলেন, এখানে গেলেই নাকি অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি হয়। কে যেন অনুসরণ করে সব সময়।
লম্বি দেহার খনি, উত্তরাখণ্ড: এক সময়ে এই খনিতে কাজ করতেন প্রচুর শ্রমিক। দুর্ঘটনায় তাঁদের অনেকে মারা যান। স্থানীয় বিশ্বাস, আজও তাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় এখানে।
জাতিঙ্গা, অসম: দলে দলে পাখি আকাশ থেকে মৃত অবস্থায় ঝরে পড়ে এখানে। কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় বিশ্বাস, এর পিছনে রয়েছে ভুতুড়ে কোনও প্রভাব।
দুমা সৈকত, গুজরাত: এক সময়ে শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সমুদ্র সৈকত। এখন হয় না। কিন্তু সেই মৃতদের আত্মারা এখনও এখানে ঘুরে বেড়ায় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।
ডাউহিল, কার্শিয়াং, পশ্চিমবঙ্গ: এখানকার দু’টি স্কুল এবং তার চারপাশের এলাকায় প্রচুর অভিশপ্ত আত্মার বাস বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। রাত হলেই তারা নাকি বেরিয়ে আসে।
বম্বে হাই কোর্ট, মুম্বই, মহারাষ্ট্র: প্রচুর মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এই আদালতে। স্থানীয় অনেকের বিশ্বাস, দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকের আত্মা আজও রয়ে গিয়েছে আদালত চত্বরে।
রামোজি ফিল্ম সিটি, তেলেঙ্গানা: শোনা যায়, এই এলাকাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে সুলতানি আমলের সেনাদের মৃতদেহ। মাঝে মধ্যেই নাকি কারণ ছাড়া আলো নিভে যায়, আয়না ভেঙে যায় এই ফিল্ম সিটিতে। অনেকের বিশ্বাস, তার পিছনে রয়েছে ভুতুড়ে প্রভাব।
কুলধারা গ্রাম, রাজস্থান: কথিত আছে, ১৮২৫ সালে এই গ্রামের সব মানুষ কোনও এক কারণে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকেই গ্রামটি অভিশপ্ত বলে প্রচার।
ভানগড় কেল্লা, রাজস্থান: ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও রাতে এখানে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। কেউ এখানে রাতে গেলে, আর নাকি ফিরে আসেন না। কথিত আছে, এক সাধু এই কেল্লার রাজকন্যার প্রেমে পড়েন। তাঁকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় এখানে।