—প্রতীকী ছবি।
অল্প বয়স থেকেই সঞ্চয় শুরু করলে ভবিষ্যতে বড় কিছু করার আগে বেশি ভাবতে হয় না। আর অল্প বয়স থেকে সঞ্চয়ের জন্য অল্প বয়স থেকে রোজগারও করতে হবে বইকি। একটু বুদ্ধি খরচ করলেই কলেজে পড়াশোনা চলাকালীনও আপনি মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করতে পারেন।
এই ডিজিটাল যুগে অনেক শিক্ষার্থীই উদ্যোগপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ডিজিটাল দুনিয়ায় অর্থ রোজগারের জন্য খুব বেশি পরিশ্রম কিংবা সময় ব্যয় করার প্রয়োজন পড়ে না। পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। শুরু করতে পারেন নিজের ব্যবসা। আপনিও কি পড়াশোনার পাশাপাশি ভাল অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন? কী কী করতে পারেন, রইল হদিস।
অনলাইন কোচিং করুন: আপনি কি পড়াশোনা নিয়ে থাকতে ভালবাসেন? তা হলে কিন্তু স্কুলের শিশুদের পড়িয়ে ভাল অর্থ উপার্জন করাই যায়। এখন বাড়িতে গিয়ে কিংবা কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানোর চেয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করার চল বেড়েছে। এতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী— উভয় পক্ষেরই সময় বাঁচে। আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন, সেই বিষয়ের ছাত্রছাত্রীই বাছাই করুন। এতে আপনার পড়াও ঝালাই হবে, আর অর্থ উপার্জনও হবে।
অনলাইনে জিনিস বিক্রি করুন: এখন অনলাইনে বিক্রী করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তরুণ-তরুণীরা। শাড়ি হোক কিংবা হাতে তৈরি গয়না, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম থেকে শিশুদের সফ্ট টয়— আপনি যেই জিনিসটির বিষয়ে দক্ষ তাই দিয়েই শুরু করুন ব্যবসা। প্রথম দিকে কিছু আকর্ষণীয় অফার দিয়ে গ্রাহক টানতে হবে। তবে এখন অনলাইনের ব্যবসার প্রতিযোগিতা অনেক, তাই আপনি যে জিনিসটা বিক্রি করছেন, তা যেন আর পাঁচ জনের থেকে একেবারে আলাদা হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।
ভ্লগিং শুরু করুন: ইউটিউব, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে ভ্লগিং করেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। লাইফস্টাইল ভ্লগিং, ফুড ভ্লগিং, ট্র্যাভেল ভ্লগিং— আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্ষেত্র বাছাই করে নেমে পড়তে পারেন ভ্লগিং করতে। তবে এই কাজে কিন্তু ধৈর্যের প্রয়োজন। ধৈর্য হারালে কিন্তু আয় করতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং করুন: আপনি কি লেখালিখি পছন্দ করেন? কিংবা গ্রাফিক ডিজ়াইনিংয়ের কাজ করতে ভালবাসেন? আপনি যে কাজে দক্ষ, সেই কাজে ফ্রিল্যান্সিং করেই কিন্তু আপনি মোটা অঙ্কের আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যত খানি সময় ব্যয় করতে পারবেন ততই আয় বাড়বে।
বেকিং শুরু করুন: বেকিং করে ঘরে বসেই এখন অনেক টাকা উপার্জন করছেন অনেকে। জন্মদিন থেকে বিবাহবার্ষিকীর কেক, হরেক রকম চকোলেট, কুকিজ় বিক্রি করতেই পারেন। আপনার কাজ যত নিখুঁত হবে ততই বেশি আয় করতে পারবেন আপনি। ব্যবসায় সাফল্য আনতে শুধু চাই ডিজিটাল মাধ্যমে একটু প্রচার।