টম্যাটোকে অনেকে বিলিতি ফলও বলে থাকেন। তবে টম্যাটো খাবেন কি না তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তাই আগে জেনে নিন টম্যাটোর গুণ কী।
কেন খাবেন?
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী টম্যাটো। এতে ভিটামিন এ থাকায় শিশুদের জন্য ভাল। রাতকানা রোগ বা চোখে ছানি পড়াও রোধ করে।
- এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও প্রচুর পরিমাণে থাকে। পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘টম্যাটোয় লাইকোপেন নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকে। ফলে হার্টের জন্য খুব ভাল। তবে টম্যাটোয় পটাশিয়ামও থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে বা কিডনির সমস্যায় টম্যাটো খাওয়া কমিয়ে দিতে হয়।’’
- এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণও অনেক। পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরী বললেন, ‘‘ভিটামিন সি-র পরিমাণ এতে প্রচুর। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করে খেলে এর ভিটামিন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই টম্যাটো খেতে চাইলে স্যান্ডউইচ বা স্যালাডে দিয়ে খাওয়াই ভাল। আর ক্ষেত্রবিশেষে টম্যাটোর বীজ বাদ দিয়ে খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে টম্যাটো খাওয়া কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রেও টম্যাটোর বীজ বাদ দিয়ে খেতে পারেন।’’
- টম্যাটোয় জলীয় কনটেন্ট বেশি থাকে বলে শরীরের জন্য ভাল। একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষ রোজ একটা টম্যাটো খেতে পারেন।
- ত্বকের জন্যও টম্যাটো খুব ভাল। টম্যাটোর ভিটামিন সি ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে। সানবার্ন কমাতেও টম্যাটো কার্যকর। এটি খাওয়ার সঙ্গে সপ্তাহে দু’তিন বার ত্বকে লাগালেও উপকার পাবেন।
- টম্যাটো লো-ক্যালরি, এর কার্বস কনটেন্ট লো, আবার পেট ভরাতেও সহায়ক। তাই ওবেসিটির সমস্যায় বা ওজন কমাতে চাইলে টম্যাটো রাখতে পারেন রোজকার ডায়েটে।
- তবে অনেকেরই টম্যাটো খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খালি পেটে টম্যাটো খাবেন না। সকালে ব্রেকফাস্টে টম্যাটো রাখলেও কোনও খাবারের সঙ্গে তা খাবেন। অথবা ভরা পেটেও কাঁচা টম্যাটো খেতে পারেন।
কী ভাবে খাবেন?
টম্যাটো ব্লাঞ্চ (গরম জলে দিয়ে তা থেকে তুলে ঠান্ডা জলে দিতে হয়) করে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে তেলে টম্যাটো ভাজবেন না। এতে টম্যাটোর খাদ্যগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
চেরি টম্যাটো বা ছোট টম্যাটো কাঁচা স্যালাডে দিয়ে খেতে পারেন। টম্যাটোর গুণ অনেক। তাই তা বাদ দেওয়ার আগে ডায়াটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।