Rwitobroto Mukherjee

আমার এ বছরের পয়লা বৈশাখ কাটবে নাটকের কস্টিউম পরেই: ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

টলিপাড়ার তরুণ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। পয়লা বৈশাখে কী করছেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে জানালেন অভিনেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৪
Share:

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় বড় পর্দার পাশাপাশি সমানতালে মঞ্চেও দাপিয়ে বেড়ান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বাংলা নতুন বছরের আবাহনে বাঙালির উন্মাদনা কম নয়। সামনেই পয়লা বৈশাখ। দুর্গাপুজোর পরে বাঙালি পুরোপুরি একাত্ম হতে পারে যে উৎসবের সঙ্গে, তা হল নববর্ষ। পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামার গন্ধ, রকমারি মিষ্টি, বাড়ির সকলের সঙ্গে আড্ডা, আর জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। বাঙালির উৎসব মানেই তার উদ্‌যাপন হবে রসেবশে।

Advertisement

শুধু সাধারণ মানুষ নয়। নববর্ষের উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন টলিপাড়ার সদস্যরা। ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। টলিউডের তরুণ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ। বড় পর্দার পাশাপাশি সমানতালে মঞ্চেও দাপিয়ে বেড়ান। নববর্ষে কী পরিকল্পনা অভিনেতার? ঋতব্রত বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে নাটকের শো আছে। চন্দন সেনের পরিচালনায় ‘অপবিত্র’ বলে একটি নাটকে অভিনয় করি। নববর্ষের সন্ধেবেলায় মধুসূদন মঞ্চে তারই শো রয়েছে। ফলে নতুন বছর শুরু হচ্ছে মঞ্চে অভিনয় করে। ফলে এর চেয়ে ভাল পয়লা বৈশাখ আর হতেই পারে না।’’

Advertisement

নাটকের শো সন্ধ্যায়। তার আগে বাড়ির সকলের সঙ্গে বিশেষ কোনও উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা আছে? অভিনেতা বলেন, ‘‘না, তেমন তো কোনও পরিকল্পনা নেই। বাকি দিনগুলির মতোই হয়তো কাটবে। একটু বেলা হলে শোয়ের কিছু কাজ থাকবে। সেগুলিই করব। তার পর বিকালেই শোয়ের জন্য বেরিয়ে পড়ব।’’

নাটক নিয়ে ব্যস্ততা তো রয়েছেই। তার মাঝে নববর্ষের বিশেষ খাওয়াদাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই? অভিনেতার কথায়, ‘‘বাড়িতে এমনিতে হয়তো সকালের দিকে লুচি, পরোটা হবে। তবে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আলাদা করে কোনও ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে না।’’

পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামার গন্ধ। ঋতব্রত কী পরছেন পয়লা বৈশাখে? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ইলিশ না কি চিংড়ি, কোনটি বেশি প্রিয় ঋতব্রতর? অভিনেতা বলেন, ‘‘এ রকম কোনও বিভাজনে আমি বিশ্বাস করি না। ইলিশ, চিংড়ি সবই খেতে ভালবাসি। ফলে দুটোর কোনও একটাও পাতে থাকলেই আমি খুশি। মোট কথা আমি খাদ্যরসিক। খেতে ভালবাসি।’’

পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামার গন্ধ। ঋতব্রত কী পরছেন পয়লা বৈশাখে? অভিনেতার কথায়, ‘‘নিজের জন্য কোনও পোশাক আমি কখনও কিনি না। মা, বাবা, মাসি কিনে আনেন। তবে বাড়ির বাকিদের জন্য পোশাক কেনা হয়েছে দেখেছি। সারা বছর আমাদের বাড়ির বিভিন্ন কাজে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁদের জন্যে নতুন পোশাক কেনা হয়েছে। তবে আমার এ বছরের পয়লা বৈশাখ কাটবে নাটকের ‘কস্টিউম’ পরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement