নববর্ষে কি ডায়েট থেকে দূরে থাকেন রাজনন্দিনী পাল? ছবি- সংগৃহীত
বাঙালি যতই দু’দেশ ভেঙে আলাদা হোক, পয়লা বৈশাখের আবেদন কিন্তু সকলের কাছে সমান। বাংলা নতুন বছরের আবাহনে বাঙালির উন্মাদনা কম নয়। নববর্ষ বঙ্গজীবনে আবেগের উৎসব। দুর্গাপুজোর পরে বাঙালি পুরোপুরি একাত্ম হতে পারে যে উৎসবের সঙ্গে, তা হল পয়লা বৈশাখ। তাই নববর্ষের কয়েক দিন আগে থেকেই উদ্যাপনের পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। নতুন পোশাক, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর বাঙালি খানায় জমিয়ে ভূরিভোজ— পয়লা বৈশাখের উদ্যাপন এমনই হয়ে এসেছে।
শুধু সাধারণ মানুষ নয়। নববর্ষ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে টলিপাড়ার তরুণ অভিনেতাদের মধ্যেও। রাজনন্দিনী পাল। টলিউডের পরিচিত মুখ। রাজনন্দিনী এমনিতে হইহুল্লোড় করতে ভালবাসেন। শুটিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলে বাড়িতে যে কোনও উৎসবের মধ্যমণি তিনিই। এই নববর্ষের উদ্যাপন কতটা উত্তেজিত অভিনেত্রী? পরিকল্পনাই বা কী? রাজনন্দিনী বলেন, ‘‘নববর্ষে আমার অনেক কিছুই করার থাকে। আমি, মা এবং বাবা ঘরেই থাকতে ভালবাসি। কোনও উদ্যাপন বাড়িতেই করি। তবে খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে কোনও আপস করি না। আমরা তিন জনেই খেতে খুব ভালবাসি। আসলে এই ছুটির দিনগুলি আমাদের জন্য খুবই আলাদা একটা ব্যাপার। তিন জনেই যে হেতু নানা কাজে ব্যস্ত থাকি, এই উৎসবগুলিই আমাদের তিন জনকে এক করে।’’
বিরিয়ানি না হলে পয়লা বৈশাখ সম্পূর্ণই হয় না রাজনন্দিনীর। ছবি- সংগৃহীত
পেশাগত প্রয়োজন ছাড়াও সুস্থ থাকতেও সারা বছর বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন রাজনন্দিনী। নববর্ষে কি ডায়েট থেকে দূরে থাকেন তিনি? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘একেবারেই। নববর্ষে কোনও ডায়েট নয়। পয়লা বৈশাখের দুপুরে বাড়িতে পুরো একটা বাঙালি থালি রান্না হয়। আমার ঘি আর লাউয়ের খোসা ভাজা দিয়ে ভাত খেতে দারুণ লাগে। ফলে সেটা তো থাকেই। এ ছাড়া উচ্ছে সিদ্ধ, নিম বেগুন থাকেই প্রথম পাতে। আর আমি এগুলি খেতেও পছন্দ করি। এ ছাড়া ইলিশ, চিংড়ি তো থাকবেই। শেষপাতে চাটনি তো থাকবেই। আর রাতে সবাই মিলে বিরিয়ানি খেতে যাই। ওটা খেতেই হবে। না হলে পয়লা বৈশাখ সম্পূর্ণই হবে না।’’
কথায় কথায় নতুন জিনিস একেবারেই কেনেন না রাজনন্দিনী। ছবি- সংগৃহীত
নববর্ষে নতুন পোশাক পরার একটা চল রয়েছে। রাজনন্দিনী কী পরছেন পয়লা বৈশাখে? রাজনন্দিনী বলেন, ‘‘আমি আসলে কথায় কথায় নতুন জিনিস একেবারেই কিনি না। নিজে না কিনলেও অন্য কাউকে দেওয়ার চেষ্টা করি। আলমারিতে এমন অনেক জামা রয়ে গিয়েছে, যেগুলো কখনও পরা হয়নি। লেক গার্ডেন্সের সিগন্যালের ওখানে আমার অনেক ছোট ছোট বান্ধবী আছে। আমি ওদেরই জামাকাপড়গুলো দিয়ে আসি।’’