এই সপ্তাহান্তে নড়বড়ে সম্পর্ককে সময় দিন
লক ডাউনের সময়ে দিনভর বাড়ি বসে থেকে পারিবারিক সম্পর্কে যে সমীকরণ বদলেছে, তা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। কারও ভাল হয়েছে। দীর্ঘ দিনের দূরত্ব কমেছে কাছাকাছি সময় কাটিয়ে। একসঙ্গে বাড়ির কাজ করে। কথা বলার সময় পেয়ে। কারও বা আবার একসঙ্গে বেশি সময়, এক জায়গায় কাটিয়েই খানিক তিক্ততা বেড়েছে। তবে লক ডাউন পেরিয়ে জীবন আবার নতুন গতি নিয়েছে। পুরনো ব্যস্ততার অনেকটাই ধীরে ধীরে ফিরছে। তারই মধ্যে সম্পর্ক ফের হাবুডুবু?
তিক্ত হতে চাওয়া সম্পর্ককে এরই মধ্যে আগলাতে হবে। সুন্দর হয়ে ওঠা বন্ধনের মিষ্টত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে কী করতে পারেন? হাতে রয়েছে সপ্তাহান্ত। এ সময়টা নিজের পরিবার-বন্ধুর জন্য রাখবেন তো বটেই। সঙ্গে একটু যত্ন নিন। আগে থেকে ভেবে রাখুন কী কী করবেন এই সপ্তাহান্তে, যাতে সম্পর্ক সুন্দর হয় সপ্তাহান্তেরই গুণে। আগামী শনি-রবিবারের ভাবনাটা এখনই ঠিক করে ফেলুন। যাতে ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি না থাকে।
সকলে মিলে রান্না
এমন কিছু রান্না ভেবে রাখুন, যা অনেকে মিলে করতে পারেন। বাঙালি রান্নাই করুন না। সহজ লুচি ভেবে নিতে পারেন। এক জন বেলবেন, অন্য জন ভাজবেন। তার পরে একসঙ্গে বসে খাওয়া। লুচি বড়ই সাধারণ বস্তু। এতে খাটনি নেই মোটেও। তবে এখানে লুচি তো উদ্দেশ্য নয়। একসঙ্গে কোনও কাজ করা, যাতে আনন্দ পাবেন। এইটাই তো ভাবনা। সে আনন্দ পেতে পারেন বাড়িতে স্টেক কিংবা সুশি বানিয়েও। সারা সপ্তাহ যে যার কাজে ব্যস্ত থাকেন, একটা দিন সঙ্গীর সঙ্গে হাতে হাতে কোনও কাজ করলে মন ভাল থাকবে। যত্ন পাবে সম্পর্কও।
একটা সিনেমা একসঙ্গে
সিনেমা দেখার সময় এমনিতে হয় না? তার মধ্যে আবার একসঙ্গে সিনেমা মানে বাছাই পর্বেই মারামারি। কোনওটাই অপরিচিত নয়। এমনই হয় ঘরে ঘরে। কিন্তু নিজের ফোন বা ল্যাপটপটা কিছু ক্ষণের জন্য ভুলে যান। ঘরের টিভি, বা ডেস্ক টপে একটা সিনেমা দেখুন পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে। কী দেখলেন, সেটা উদ্দেশ্য নয়। কী ভাবে দেখলেন, সেটাই আসল। সঙ্গে পপ কর্ন নিয়ে বসুন না কিছুটা সময়। একে-অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার অভ্যাস করলে মন্দ কী?
সান্ধ্য ভ্রমণ
দূরে নয়। বাড়িরই কাছে। কিছু ক্ষণের জন্য হাঁটতে বেরোন। দু’জনের কেউই অন্য কাজ রাখবেন না সে সময়টায়। আগে থেকে ঠিক করে নিন। বাজার করা, আলমারি গোছানোর ভাগাভাগি কিছু ক্ষণের জন্য মনের থেকে দূরে থাক। আধ ঘণ্টা শুধু দু’জনের। সঙ্গে থাকবে না কোনও ফোন। পাশাপাশি, পা মিলিয়ে হাঁটার অভ্যাস যে প্রায় লুপ্ত এ সময়ের দম্পতিদের জীবন থেকে। সপ্তাহান্তে একসঙ্গে পথ হাঁটাই বাকি সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করতে পারে। বিবাদ মেটানোর ইচ্ছেও জন্ম নিতে পারে এর থেকে।
এ সপ্তাহান্তে কখন কোনটা করবেন, ভেবে রাখুন কাজের মাঝে। সপ্তাহের বাকি অংশটাও আনন্দে কাটবে!