ফ্ল্যাট কেনার আগে কোন কোন বিষয় যাচাই করা জরুরি? ছবি: শাটারস্টক।
ঘর বাঁধার স্বপ্ন কার না থাকে? নিজের ঘর, নিজের বাড়ি, মাথা গোঁজার ঠাঁই। যে ঠাঁই পাওয়ার লক্ষ্যে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় উজাড় করে দেন মধ্যবিত্ত। স্বপ্ন সত্যি করার আশা নিয়ে চলতে থাকে খোঁজ। দ্বারস্থ হতে হয় প্রোমোটার বা কোনও রিয়েল এস্টেট সংস্থার। অথচ স্বপ্ন পূরণের এই সফরে অনেক সময়েই বাধ সাধে নানা সমস্যা। এমনকি, অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বসেন অনেকেই! তাই নতুন ফ্ল্যাট কেনার আগে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা দরকার। জেনে নিন, ফ্ল্যাট কেনার আগে কোন কোন বিষয় নজর না রাখলেই বিপদে পড়বেন?
১. যে কোনও কিছু কেনার আগে একটা বাজেট ঠিক করা জরুরি। ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এই নিয়ম আরও বেশি করে প্রযোজ্য। বাজেট ঠিক করে নিয়ে তবেই ফ্ল্যাট খুঁজুন। ফ্ল্যাট পছন্দ হওয়ার পর যদি দেখেন তার দাম সাধ্যে কুলোচ্ছে না, তা হলে উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। সেটা ঠিক হবে না। বরং সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ করার চেষ্টা করুন।
২. ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা ছাড়া উপায় থাকে না। ফ্ল্যাট চূড়ান্ত করার আগে এক বার প্রোমোটারের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে নিন। তাঁর দায়িত্বে থাকা অন্য প্রোজেক্টগুলির বিষয়ে জেনে নিন। তিনি মানুষ হিসাবেও কেমন, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
৩. ফ্ল্যাট পছন্দ হলেই সঙ্গে সঙ্গে টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবেন না। বরং কিছু দিন নির্মীয়মাণ বহুতল তৈরির কাজের সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকুন। কাজের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখুন। পছন্দ করা ফ্ল্যাটের দেওয়াল, ছাদ, মেঝে মজবুত কি না, তা দেখে নিন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
ফ্ল্যাট পছন্দ হলেই সঙ্গে সঙ্গে টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৪. ফ্ল্যাটের মাপ যত বর্গ ফুট বলা হচ্ছে, সেটাই বিশ্বাস করে নেবেন না। কারণ ফ্ল্যাটে জায়গা নিয়ে কারচুপি করার কিন্তু সুযোগ রয়েছে। তাই মুখের কথায় বিশ্বাস করলে ঠকতে হতে পারে। বরং ফ্ল্যাট কেনার আগে বর্গ ফুট যাচাই করে নিন।
৫. এমন জায়গায় ফ্ল্যাট কেনা উচিত, যেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। সে ক্ষেত্রে যদি খানিকটা বেশি দাম দিতে হয়, তা-ও ঠিক আছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে দেখে নিন সেখান থেকে মেট্রো স্টেশন, বাস স্টপ কত দূরে। কাছাকাছি কোনও বাজারদোকান, হাসপাতাল আছে কি না দেখুন। এ সব না দেখে তা়ড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে পরে মুশকিলে পড়তে পারেন।