বিবাহবিচ্ছেদ পেতে কেন ২২ বছর সময় লাগল দম্পতির? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বিয়ের পর মাত্র ৪৩ দিন একসঙ্গে ছিলেন দম্পতি, ২২ বছর পর অবশেষে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করল আদালত। সংবিধানের ১৪২ নং ধারায় বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে আদালত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের আর্জি অনুমোদন করেছে।
২০০২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল দম্পতির। ওই বছরই মার্চ মাস থেকে নিজের বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন মহিলা। ২০০৫ সালে আদালতের রায় অনুয়ায়ী ২০ দিন একসঙ্গে থেকেও দু’জনের সম্পর্কে কোনও উন্নতি হয়নি। তার পর থেকেই দু’জনে আলাদা থেকে নিজেদের মতো করে জীবন কাটাতে শুরু করেন।
দীর্ঘ দিন আলাদা থাকার কারণে দু’জনের সম্পর্কে যথেষ্ট অবনতি ঘটে, সেই দেখেই আদালত তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দিয়েছে। দু’জনেই স্বাস্থ্যকর্মী। আর্থিক দিক থেকে সেই মহিলাও যথেষ্ট সচ্ছল, তাই তিনি কোনও রকম খোরপোশ পাবেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
২০০২ সাল থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মামলা দায়ের করেন দম্পতি। সেই সব মামলার নিষ্পত্তি করতেই কেটে যায় প্রায় ২২ বছর। যদিও মামলা চলাকালীন মহিলা দাবি করেছিলেন, তিনি বহু বার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন, তবে মহিলার সেই দাবি তাঁর স্বামী অস্বীকার করেন। মহিলার স্বামী আদালতে জানিয়েছেন, সম্পর্ক মিটমাট করার জন্য কোনও ভাবেই উদ্যোগী হননি তাঁর স্ত্রী। আদালত মহিলার স্বামীর বক্তব্যগুলিই সঠিক মেনে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মেনে নিয়েছে।