গরমে লোডশেডিংয়ের প্রকোপ বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
গরমের দাপটে নাজেহাল গোটা রাজ্য। এ দিকে তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কলকাতার গরম পাল্লা দিচ্ছে মরুশহরের সঙ্গে। কোথায় গেলে দু’দণ্ড শান্তি মিলবে, তারই খোঁজ করে চলেছেন বাঙালি। ফ্রিজ়ের ঠান্ডা জলে গলা ভিজিয়ে আর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে বটে, তবে সেই স্বস্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঘন ঘন লোডশেডিং। তীব্র গরমে দিন নেই, রাত নেই হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। তার পর দীর্ঘ অপেক্ষা। চাতক পাখির মতো বসে থাকতে হয় বিদ্যুতের পথ চেয়ে। তত ক্ষণে ঘামে ভিজে চুপচুপে হয়ে যেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে শারীরিক অস্বস্তি আর একরাশ বিরক্তি তো আছেই। বিদ্যুৎ অফিসে সাহায্য চাইলেও অধিকাংশ সময়ই মিলছে না সুরাহা। বিদ্যুৎ কখন চলে যাবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগে কী কী ব্যবস্থা নিয়ে রাখবেন?
১) গরমে জল ছাড়া এক পা চলা দায়। লোডশেডিং হলে জল পাওয়া মুশকিল হবে। তাই আগে থেকেই জল সঞ্চয় করে রাখুন। বলা তো যায় না, কখন বিদ্যুৎ চলে যাবে। ফ্যান, এসি বন্ধ হয়ে গেলেও অন্ধকারে বসে ঘামতে ঘামতে অন্তত গলা ভেজাতে পারবেন। সে জন্য বাড়ির জল পরিশোধনকারী যন্ত্রটিতে আগে থেকে জল ভরে রাখতে হবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর জল পাওয়া যাবে না। একই রকম ভাবে পাম্পেও জল ধরে রাখতে পারলে ভাল।
২) গরমে ইনভার্টারে চার্জ দিতে ভুলবেন না। ইনভার্টারে চার্জ না থাকলে ভরাডুবির একশেষ। ইনভার্টারে চার্জ দেওয়া থাকলে অন্তত একটা ফ্যান, আলো জ্বালানো যাবে। তাতে খানিকটা স্বস্তি অন্তত পাওয়া সম্ভব।
৩)লোডশেডিং হওয়ার আদর্শ সময় হল গরমকাল। যখন-তখন সব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং হলে বেশ সমস্যা হয়। তাই মনে করে কিছু মোমবাতি কিনে হাতের কাছে রাখুন। অন্ধকারে নানা পোকামাকড় গোপন আস্তানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই একেবারে অন্ধকারে না থাকাই শ্রেয়।
৪) গরম পড়লেই মশার প্রকোপ বাড়ে। বহুতলের যে উচ্চতায়ই ঘর হোক, মশার হাত থেকে রেহাই নেই। লোডশেডিং হলে মশাদের দাপট যেন আরও বেড়ে যায়। এই গরমে যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। অন্ধকারে মশারা যাতে ঘিরে না ধরে, তার জন্য আগে থেকে ধূপ, কয়েল প্রস্তুত রাখুন।
৫) লোডশেডিং মানেই ফ্রিজ় বন্ধ।বোতলে ভরা ঠান্ডা জলও গরম হতে শুরু করবে। দরদর করে ঘামলেও, ঠান্ডা জলে গলা ভেজানোর উপায় নেই। গরমের দিনে বাড়িতে তাই মাটির কুঁজোয় জল ভরে রাখতে পারেন। লোডশেডিং হলেও ঠান্ডা জল খেতে পারবেন।