উৎসব মগ্ন হয়ে একের পর এক ভাঙের গ্লাসে চুমুক দিতে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত।
দোলের দিন রং মাখবেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন, জমিয়ে ভূরিভোজ করবেন আর ভাঙের গ্লাসে চুমুক দেবেন না, তা কী করে হয়! দোলের উৎসবে ভাঙের ব্যবস্থা না থাকলে, রঙিন আবহটা কেমন যেন ফিকে হয়ে আসে। বাঙালির রং খেলার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হল ভাঙের শরবত। এ দিন আর কোনও নিয়ম, বাধানিষেধের ধার ধারেন না কেউই। উৎসবে মগ্ন হয়ে একের পর এক ভাঙের গ্লাসে চুমুক দিতে থাকেন। তার পরেই শুরু মাথাঘোরা, ঝিম ভাব, ঘুম পাওয়া। যা সহজে কাটতেই চায় না। তবে এই অবস্থা কাটানোর কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি জেনে নিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
পর্যাপ্ত জল খান
ভাঙের হ্যাংওভার কাটানোর অন্যতম পন্থা হল নিজেকে আর্দ্র রাখা। তার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীরে জলের অভাব থাকলে এই অবস্থা কিন্তু সহজে কাটতে চায় না। জল শরীর আর্দ্র রাখবে এবং যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেবে।
বাঙালির রং খেলার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হল ভাঙের শরবত। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ভাং খাওয়ার পর বাইরের হাবিজাবি মশলাদার খাবার থেকে সচেতন ভাবে দূরে থাকুন। এগুলি খেলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বাড়ির খাবার খান। ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে, এমন খাবার বেশি করে খান।
উষ্ণ জলে স্নান করুন
ভাং খাওয়ার পরবর্তী শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে ঈষদুষ্ণ জলে ভাল করে স্নান করে নিন। এতে শরীরের পেশিগুলি সচল হবে। মাথা ঘোরার মতো সমস্যাগুলিও দূর হবে।
লেবুর জল
পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শরীরে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক এই লেবু। ভাঙের নেশা কাটাতেও দারুণ কার্যকরী। ভাঙের আমেজ দূর করতে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে বেশি করে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। মাথা ঝিম ঝিম, ঘোর কাটাতে কাজে আসবে লেবু জল।
ডাবের জল
ভাঙের নেশা কাটানোর অন্যতম উপায় হল ডাবেরর জল। এতে মিনারেলস ও ইলোক্ট্রোলাইট উপাদান থাকে। চটজলদি ভাঙের নেশা থেকে বেরোতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন ডাবের জলে।