চোখের সামনে রং খেললেও, সন্তানকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই বাবা-মায়ের। ছবি: সংগৃহীত।
রঙিন উৎসবের উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি থাকে বাচ্চাদের মধ্যে। বড়দের সঙ্গে সমান তালে রং খেলে কচিকাঁচারাও। পিচকারি, বেলুন, আবির নিয়ে সকাল থেকেই তৈরি বাড়ির খুদে সদস্যরা। চোখের সামনে রং খেললেও, সন্তানকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই বাবা-মায়ের। সে চিন্তা অবশ্য অমূলক নয়। বাচ্চারা নিজের সুরক্ষা নিতে দক্ষ নয়। ফলে উৎসবটা রঙিন হলেও, কিছু আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে শিশুকে রং খেলতে পাঠানোর আগে কয়েকটি কৌশল যদি অভিভাবকেরা অবলম্বন করেন, তা হলে কম চিন্তা করলেও চলবে। শিশুর দোল উদ্যাপন হবে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।
ভেষজ রং দিয়ে খেলতে পাঠান
শিশুর ত্বক এমনিতেই স্পর্শকাতর। কৃত্রিম ভাবে তৈরি বিভিন্ন রাসায়নিক রং ব্যবহার করলে শিশুর ত্বকে এবং শরীরের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তার চেয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ভেষজ রং। ফুল এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহার করে আবির তৈরি হয়। রং খেলার সামগ্রী হিসাবে সেগুলিই শিশুর হাতে তুলে দিন।
লম্বাহাতা পোশাক পরিয়ে দিন
দোলের রং থেকে ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জির ভয় থাকে। আবার গাঢ় জল রং হলে তা অনেক দিন পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে থেকে যায়। বেশ কিছু স্কুলে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। তাই সেই ঝুঁকি এড়াতে রং খেলতে নামার আগে শিশুকে লম্বা হাতা জামা এবং পা ঢাকা ট্রাউজার পরিয়ে দিন। গায়ে মাখিয়ে দিন কোনও ক্রিম অথবা তেল। এই উপাদানগুলি ত্বকে রং আটকাতে দেয় না।
শিশুর দোল উদ্যাপন হোক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। ছবি: সংগৃহীত।
আবির ব্যবহার করতে উৎসাহ দিন
পিচকারি আর জল রং ভরা বেলুন— দু'টি জিনিসই খুদেদের খুব প্রিয়। কিন্তু দোল খেলার সময়ে রং ভর্তি বেলুন ও পিচকিরি ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এতে যেমন চোট লাগার আশঙ্কা থাকে, তেমনই পিচকিরি দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া রং আচমকা নাক-চোখে ও কানের ভিতর ঢুকে যেতে পারে। তা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। সন্তানকে জল রঙের বদলে আবির ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন।
বেশি করে জল খাওয়ান
সাধারণত রং খেলতে খেলতে অনেকটা বেলা হয়ে যায়। এক দিকে সূর্যের তাপ, অন্য দিকে তরল রং— সব মিলিয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। রং খেলতে যাওয়ার আগে তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করান। এতে জলশূন্যতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। খেয়াল রাখুন হাত-মুখ না ধুয়ে সন্তান যেন কোনও খাবার খেয়ে না ফেলে। রাসায়নিক রং পেটে যাওয়া খুবই ক্ষতিকর।