আচার বানানোর সময় কোন ভুল ভুলেও নয়? ছবি: সংগৃহীত।
আচার খেতে ভালবাসেন না, এ রকম মানুষ পাওয়া মুশকিল। রুটি-পরোটার সঙ্গে আচারের একটু স্বাদ অন্য মাত্রা এনে দেয়। আবার আচার দিয়ে যদি মুড়ি মাখেন, তার স্বাদেও কিন্তু জিভে জল আসতে বাধ্য। আচার বানানোয় ঠাকুমা-দিদিমারা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। মোটামুটি সব বাড়িতেই খোঁজ করলে লঙ্কার আচার, আমের আচার, তেঁতুলের আচার, একটা না একটা মিলতই। সেই আচারের যা অপূর্ব স্বাদ! অনেক স্মৃতি উস্কে দেওয়া সেই রকম আচার বাড়িতে বানাতে চান? কী ভাবে বানাবেন তার প্রণালী সহজলভ্য, তবে আচার বানাতে গেলে বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হয়। বাড়িতে ঠাকুমা-দিদিমারা যখন আচার বানাতেন, তাঁরা কিন্তু এগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতেন। তবেই না সেই আচারের অমন স্বর্গীয় স্বাদ হত! জেনে নিন, আচার বানাতে গেলে কী কী নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
১) আচার বানাতে গেলে যে তেল বা মশলা প্রয়োজন, সেটা একদম টাটকা হওয়া দরকার। কারণ পুরনো হয়ে যাওয়া তেল বা মশলা ব্যবহার করলে আচার নষ্ট হয়ে যাবে।
২) ভাল আচার তৈরি করতে গেলে যে কোনও তেল ব্যবহার করলে চলবে না। সরষের তেল দিয়েই সবচেয়ে ভাল আচার তৈরি করা যায়। আবার অলিভ অয়েল দিয়ে যেমন আচার তৈরি করাই যায় না।
৩) আচার তৈরি করার সময় মশলা ও সব্জি-সহ বাকি উপাদান মেশানোর জন্য হাতের ব্যবহার না করে কাঠের হাতা বা চামচ ব্যবহার করা উচিত।
আচার তৈরির সব উপাদান যদি ঠিক মতো না মেশে তা হলে আচার ভাল হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) আচার তৈরির সব উপাদান যদি ঠিক মতো না মেশে তা হলে আচার ভাল হবে না। তাই আচার বানানোর সময় এটি মাথায় রাখা দরকার।
৫) আচার অনেক দিন রেখে দেওয়া যায়। আচার রাখার জন্য কাচের বয়াম সবচেয়ে ভাল। কাচে না রাখলে স্টিলের পাত্রেও রাখতে পারেন। তবে কাঁসা বা তামার পাত্রে আচার রাখবেন না।