হেডফোনের খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে আসার পথে মেট্রোর কলরব এড়াতে কানে গুঁজে রাখেন ইয়ারফোন। ফেরার সময়েও তার অন্যথা হয় না। অনেকে আবার হেডফোনও ব্যবহার করেন। রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রেনে-ট্রামে কমবয়সিদের মাথা জুড়ে থাকে হেডফোন। কত দিন এর মেয়াদ থাকবে, সেটা ভেবে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও কিনতে চান না। তবে হেডফোন কেনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে, ব্যবহার করতে সমস্যা হয় না। কোন ধরনের হেডফোন কিনতে পারেন?
ওভার দ্য ইয়ার
এই ধরনের হেডফোন আকারে সব চেয়ে বড়। দু’কানে আটকালে অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। কানের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে থাকে বলে বেশ ভাল শোনা যায়। কানের অংশে মোটা প্যাডিং থাকে, যা কানের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে না, কিন্তু রোজের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই ধরনের হেডফোন ব্যবহার করা একেবারেই সুবিধার নয়। তবে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো এডিটিং করার জন্য এই ধরনের হেডফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন দ্য ইয়ার
এই ধরনের হেডফোনের আয়তন তুলনায় ছোট। ফলে কানের জায়গায় খুব বেশি প্যাডিংও থাকে না। কানের উপরের অংশে আটকে থাকে, তবে শোনার জন্য এই হেডফোন বেশ ভাল। বাইরের আওয়াজ একেবারেই ঢুকতে পারে না। কিন্তু বিশেষ প্যাডিং না থাকায় অত ভারী জিনিস কানে আটকে রাখলে ব্যথা হতে পারে।
শুধু গান শোনা কিংবা সিনেমা দেখার জন্য এই ধরনের ইয়ারফোন একেবারে আদর্শ। ছবি: সংগৃহীত।
ইন দ্য ইয়ার
সাধারণ ইয়ারফোনের মতো দেখতে এটি। লম্বা তারযুক্ত। শুধু গান শোনা কিংবা সিনেমা দেখার জন্য এই ধরনের ইয়ারফোন একেবারে আদর্শ। বহন করাও সহজ। তবে এডিটিং করার জন্য এই হেডফোন কাজে আসবে না।