বাড়ির গাছের যত্ন নিক শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত।
গাছ দিয়ে ঘর সাজালে অন্দরের ভোল বদলে যায় ঠিকই। তবে গাছের খেয়াল রাখা কিন্তু সহজ নয়। গাছের যত্ন নিতে আলাদা সময় ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এই ব্যস্ততম জীবনে সময়েরই সবচেয়ে ব়ড় অভাব। পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেই সংশয় থেকেই গাছ দিয়ে ঘর সাজানোর ইচ্ছা গোপনেই রাখতে হয়। তবে বাড়ির খুদেরা যত্ন নিতে পারবে, এমন গাছ কিন্তু ঘরে রাখা যায়। তা হলে ছোটদের একটা দায়িত্ব বাড়বে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তারাও খুশি হবে। তবে বাড়ির খুদে সদস্যকে গাছপালা পরিচর্যার কাজে যুক্ত করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এমন কোনও গাছের যত্নআত্তির দেওয়া যাবে, যেগুলি খানিকটা হলেও বিষাক্ত। কোন গাছগুলির যত্নের ভার চোখবন্ধ করে দিতে পারেন সন্তানের হাতে?
জেড প্লান্ট
খুব কম জল দিতে হয়। আলো পেলেই হল। কড়া রোদে রাখার কোনও প্রয়োজনই নেই। এই গাছ শিশুদের জন্য একেবারেই নিরাপদ। অল্প করে জল কী ভাবে দিতে হয়, তা শিশুদের শিখিয়ে দিলেই হল।
স্পাইডার প্লান্ট
মাটির ছোট টবেই হোক, কিংবা ঝুলন্ত প্লাস্টিকের গামলা জাতীয় পাত্রে— এই গাছ সহজেই বাঁচিয়ে রাখা যায়। জলের চাহিদা মাঝারি। সার বা অন্য খাবারের চাহিদাও খুব কম। এই গাছের পরিচর্যাও শিশুরা সহজে করতে পারে।
লাকি বাম্বু
শুধুমাত্র জলেই বাঁচে, জলেই বাড়ে এই গাছ। প্রায় কোনও পরিচর্যাই লাগে না। পাত্রের জল শুকিয়ে গেলে আবার একটু ঢেলে দিলেই হল। এই গাছ শিশুরা খুব সহজে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। নিজেদের ঘরে এই গাছ রাখলে শিশুদের মনও ভাল থাকবে
স্নেক প্লান্ট। ছবি: সংগৃহীত।
স্নেক প্লান্ট
ঘরের ভিতরের গাছের তালিকায় জনপ্রিয়তার নিরিখে বহু গাছের থেকে এগিয়ে থাকবে এটি। তা ছাড়া ঘরের বাতাস থেকে দূষিত বস্তু শুষেও নেয় এই গাছ। দিনের বেলায় মাটি ভেজানো জল আর সূর্যের আলো দিতে পারলেই হল। আর কিছু চাই না এই গাছের। শিশুরা খুব সহজেই পরিচর্যা করতে পারে এই গাছের।