ছবি: সংগৃহীত
নির্ধারিত সময়ের পরে বিমানবন্দরে পৌঁছনোয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে না নিয়েই উড়ে গিয়েছিল এলাহাবাদগামী বিমান। সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে দায়ী করে নেটমাধ্যমে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে সেই বিমান সংস্থা নতিস্বীকার করে। এই বিমান সংস্থার কোনও দোষ নেই তেমনই মত দিয়েছিলেন অনেকে। বিমানে ওঠার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য তা এক থাকবে। সাধারণ মানুষ হোক বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব— নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে এক। কিন্তু ঘটনার লেখচিত্র যদি উল্টো হয়? ধরুন গরমের ছুটিতে বাইরে যাচ্ছেন। সময় মতো বিমানবন্দরেও পৌঁছে গিয়েছেন। গিয়ে দেখলেন আপনার বিমানটি বাতিল হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই খানিক হতাশ হবেন। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরে যাবেন, না কী করবেন তা বুঝতে অনেকটা সময় চলে যায়। এই সমস্যার সহজ সমাধান দিয়েছেন এক বিমান সংস্থার কর্মী। বিমানে কাজ করার সুবাদে তিনি প্রায়ই এমন যাত্রী দুর্ভোগের সাক্ষী থাকেন। তাই বিমান বাতিল হলে যাত্রীরা কী করবেন সে বিষয়ে তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন ওই কর্মী।
১) বিমান বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার নাম গুগল করে বা ওই সংস্থার সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে পারেন যাত্রী হিসাবে আপনি কী ধরনের ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিংবা বিমানবন্দরে পাঁচ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করার পর বিমান বাতিল হলে সেই সংস্থার তরফ থেকে কোনও সমাধান দেওয়া আছে কি না, সে বিষয়টিও দেখে নিতে পারেন।
২) ‘ফ্লাইট অ্যাওয়ার ওয়েবসাইট’-এ গিয়ে বাতিল হওয়া বিমানের নম্বর ও তারিখ দিয়ে বিমানের সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
৩) এয়ারলাইনসের অ্যাপটিও নিজের ফোনে ভরে রাখতে পারেন। এতে বিমানের গতিবিধি সম্পর্কে সব সময়ে ওয়াকিবহাল থাকা যাবে।
তবে এই পরামর্শগুলি সব দেশে বা সব বিমান সংস্থার জন্য প্রযোজ্য নয়। সংস্থা ও জায়গা ভেদে এটা পরিবর্তিত হতে পারে।