Relationship

৩ উপায়: মেনে চললে কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন দম্পতিরা

কর্মব্যস্ততা, পারিবারিক দায়দায়িত্বের মাঝে ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবন অনেক সময়েই গুলিয়ে যায়। কারও ক্ষেত্রে তা পরস্পরের বিরোধীও হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩১
Share:

সম্পর্ক ভাল রাখার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।

প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের কর্মক্ষেত্র ঠিক রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যেন এই প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মব্যস্ততা, পারিবারিক দায়-দায়িত্বের মাঝে ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবন অনেক সময়েই গুলিয়ে যায়। কারও ক্ষেত্রে তা পরস্পর-বিরোধীও হয়ে উঠতে পারে। তবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাইলে পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে একটি অদৃশ্য বিভাজনরেখা টানতে শেখা জরুরি, যাতে দু'টি ক্ষেত্র কোনও ভাবেই পরস্পরের সীমা লঙ্ঘন না করে। পেশাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেকেই পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যান। আবার পরিবার, সম্পর্ককের মূল্য দিতে গিয়ে অনেকে কর্মজীবনে ইতি টেনে দেন। স্বামী-স্ত্রী অফিসে কাজ করলে কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু মনোবিদেরা বলছেন, কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন আলাদা করে নয় বরং এই দুইয়ের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা তৈরি করতে পারাই দম্পতিদের জন্যে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু তার জন্যে কী কী মেনে চলতে হবে?

Advertisement

১) যত কাজ বা ব্যস্ততাই থাকুক, দিনের শেষে নিজেদের জন্যে একান্ত সময় বার করে নিতে হবে। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, বই পড়া কিংবা গান শোনার পাশাপাশি সাধারণ কিছু বিষয় কিংবা বাড়ির দৈনন্দিন নিয়ে আলোচনা করাও সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতে পারে।

২) স্বামী-স্ত্রী, দু'জনেই পেশাগত সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন। বাড়ি ফিরেও দু’জন আলাদা ঘরে গিয়ে ল্যাপটপে মুখ গুঁজে সমস্যার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন। এতে পেশাদার হিসেবে সুনাম অর্জন করতে পারলেও ব্যক্তিগত জীবন সুখকর না-ও হতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রের সমস্যা বাড়ি পর্যন্ত টেনে না আনতে পারলেই ভাল।

Advertisement

৩) একসঙ্গে থাকা মানে এক ঘরে নিজেদের মতো করে থাকা নয়। একই ঘরে থেকে এক জন হয়তো ল্যাপটপে মুখ গুঁজে সিরিজ় দেখছেন। অন্য জন হয়তো ফোনে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছেন। এক ঘরে থাকলেও তাতে কিন্তু নিজেদের সময় দেওয়া হচ্ছে না। তাই মনোবিদেরা বলেন, কাজ থেকে ফেরার পর, ফোন কিংবা ল্যাপটপের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায়, ততই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement