মনের গভীরে কোনও অসুখ বাসা বাঁধলে, তার ছাপ ত্বকে ফুটে উঠবেই। ছবি: সংগৃহীত।
কথায় বলে, মুখই হল মনের আয়না। মনের গভীরে কোনও অসুখ বাসা বাঁধলে, তার ছাপ ত্বকে ফুটে উঠবেই। সে যত দামি প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, মনের খবর চাপা থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও ত্বকে র্যাশ বা ব্রণ বেরোতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘আর্টিকারিয়া’ নামে পরিচিত। তবে শুধু মানসিক চাপ নয়, তেলমশলা দেওয়া খাবার, খুব গরম কিংবা খুব ঠান্ডা আবহাওয়াতেও ত্বকে এই ধরনের র্যাশ বেরোতে পারে।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে কী ধরনের র্যাশ বেরোয়?
ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো স্কুল অফ মেডিসিন-এর চিকিৎসক হুইটনি হাই বলছেন, “এই ধরনের র্যাশ দেখলেই আমরা তা ‘হাইভ’ বলে ধরে নিই না। র্যাশ বা হাইভ বেরোনোর অন্য কোনও কারণ না থাকলে তখন আমরা ওই ব্যক্তির স্ট্রেস লেভেল বা মানসিক চাপের উপর গুরুত্ব দিই।” উদ্বেগ বা মানসিক চাপ থেকে যে ধরনের র্যাশ বেরোয়, তা দেখতে অনেকটা ব্রণের মতোই। ঘাড়, কাঁধ, গলা কিংবা চোয়ালের আশপাশে এই র্যাশ বেরোয়। অন্য দিকে, ‘হাইভ’ হল এক ধরনের চর্মরোগ। যা ত্বকের উপর একটি লালচে বিন্দু থেকে শুরু করে বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বকে পুড়ে যাওয়ার মতো দাগও দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে অত্যধিক চুলকানি, আবার কারও ক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট অংশে জ্বালাও করতে দেখা যায়।
এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে কর্টিজ়ল হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও বেড়ে যায়। এই কর্টিজ়ল সাধারণ ভাবে ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। কিন্তু আমেরিকার এক ত্বকের চিকিৎসক বলছেন, “স্ট্রেস হরমোনের সঙ্গে কর্টিজ়ল ক্ষরণের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। হঠাৎ কেন এমনটা হয়, তা ঠাহর করাও কঠিন। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে এই ধরনের র্যাশও নিয়ন্ত্রণে থাকে।” মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা বা খেলাধুলো করা, সমাজমাধ্যম ব্যবহারে লাগাম টানা, গান শোনার অভ্যাস করতে বলছেন চিকিৎসকেরা।