লুচি ভাজার পর বেঁচে যাওয়া তেল অনেক কাজে লাগানো যায়। ছবি: সংগৃহীত।
কম তেলে আর যা খুশি রাঁধা যাক, লুচি ভাজা যায় না। সাদা ময়দার মণ্ড থেকে লেচি কেটে বেলে নেওয়া পাতলা পরত, গরম, ডুবো তেলে পড়তেই ফুলকো লুচি তৈরি। কিন্তু, তার পর? সেই বেঁচে যাওয়া, পোড়া তেলে আবার রান্না করলে তো ঘোর বিপদ! হার্টের সমস্যা তো বটেই, পোড়া তেলে যে হেতু ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, তাই সেই তেলে রান্না করা খাবার খেলে আরও অনেক রকম সমস্যাই দেখা দিতে পারে। কিন্তু লুচি ভাজার পর যে পরিমাণ তেল কড়াইয়ে বেঁচে থাকে, তা ফেলে দেওয়ার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আবার, শরীরের জন্য সেই তেল খাওয়াও যাবে না। তা হলে সেই তেল কোন কাজে ব্যবহার করবেন?
১) সাবান তৈরিতে:
ত্বকের কথা ভেবে অনেকেই রাসায়নিক বর্জিত সাবান ব্যবহার করেন। বাড়িতে এই ধরনের সাবান তৈরির ক্ষেত্রে পোড়া তেল কিন্তু ব্যবহার করাই যায়। ইউটিউব খুঁজলে এমন অনেক পদ্ধতি পাওয়া যাবে। তেল, ‘লাই’ নামক একটি রাসায়নিক এবং জলের মিশ্রণে খুব সহজেই সাবান তৈরি করে ফেলা যায়।
২) যন্ত্রপাতি সচল করতে:
দরজা, জানলার কব্জা কিংবা যন্ত্রপাতির সন্ধি সচল রাখতেও এই পোড়া তেল ব্যবহার করা যায়। বর্ষাকালে ধাতুর জিনিস বা যন্ত্রপাতিতে খুব সহজেই মরচে পড়ে। আগে থেকে পোড়া তেল মাখিয়ে রাখলে সেই সম্ভাবনা থাকে না।
৩) সার তৈরিতে:
ভাজাভুজি করার পর যদি অনেকটা পরিমাণ তেল কড়াইয়ে বেঁচে যায়, তা হলে তা ফেলে না দিয়ে গাছের সার তৈরির কাজে লাগাতে পারেন। তবে কার সঙ্গে কতটা তেল মেশাবেন, সে সম্পর্কে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।