ওজন কমানোর সহজ টোটকা। ছবি: ফ্রিপিক।
শুধু রান্নাতেই নয়, স্যালাড, আচার কিংবা কিমচির মতো মজানো খাবারেও বাঁধাকপির দেখা মেলে। অনেকেই ভাবেন বাঁধাকপি খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। তা নয়। কী ভাবে খাচ্ছেন, সেটা জরুরি।
শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে প্রতি দিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন, তার অনেকটাই পাওয়া যায় বাঁধাকপি থেকে। এ ছাড়াও এক কাপ কাঁচা বাঁধাকপিতে ক্যালোরির পরিমাণ ২২। প্রোটিন রয়েছে ১ গ্রাম। ফাইবারের পরিমাণ ২ গ্রাম। ভিটামিন কে ৫৬ শতাংশ এবং সি-র পরিমাণ ৩৬ শতাংশ। ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ়, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামও থাকে ভরপুর পরিমাণে। বাঁধাকপি যদি সঠিক পদ্ধতি মেনে খাওয়া যায়, তা হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে যেমন, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বাঁধাকপি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপ। ছোটদের জন্যও তা উপকারী। বাড়িতে ডায়াবিটিসের রোগী থাকলে, তা জন্যও উপকারী হবে এই স্যুপ। পাশাপাশি, এই স্যুপ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কী ভাবে বানাবেন?
এক কাপের মতো কুচনো বাঁধাকপি নিতে হবে। সঙ্গে লাগবে ১টি গোটা পেঁয়াজ কুচি, ১টি গাজর কুচি, ১টি ক্যাপসিকাল কুচনো, ২টি রসুনের কোয়া, ১টি গোটা টম্যাটোর পিউরি, ১ চা চামচ অলিভ তেল, নুন ও গোলমরিচ।
প্রণালী: কড়াইতে অলিভ তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। তার পর একে একে সমস্ত সব্জি দিয়ে দিন। মেশান টম্যাটো পিউরি। নাড়াচাড়া করে তাতে জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। নুন দিতে হবে স্বাদমতো। রান্না হয়ে গেলে গোলমরিচ ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। যাঁরা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বাঁধাকপি রাখেন, বার্ধক্যজনিত হাড়ের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।