জলখাবারে কী খান অক্ষয় কুমার? ছবি: সংগৃহীত।
পেশিবহুল শরীর বানাতে অধিকাংশ অভিনেতা যখন স্টেরয়েডের দিকে ঝুঁকে থাকেন, সেখানে বাইরে থেকে কোনও রকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না খেয়েও নির্মেদ, পেশিবহুল চেহারা অক্ষয় কুমারের। ষাট ছুঁইছুঁই বয়সেও অক্ষয়ের ফিটনেস দেখার মতোই। কোনও রকম নেশা করেন না, রাত জেগে পার্টি নয়, সুষম ডায়েট ও নিয়ম করে কঠোর শরীরচর্চার মধ্যেই থাকেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’।
শুটিং থাকুক কিংবা না-ই থাকুক, ফিটনেস নিয়ে কোনও রকম আপস করেন না অক্ষয়। এমন দিন হয় যে দিন শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে করে না, জিমে যাওয়ার নাম শুনলেই যেন জ্বর আসে— অক্ষয় কিন্তু ফিটনেসের বিষয় নিয়মানুবর্তিতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেন সব সময়ে। আর মেনে চলেন তাঁর ডায়েট। ভাজাভুজি খাওয়া পছন্দই নয় তাঁর। বাড়িতে বানানো সেদ্ধ খাবারই বেশি খান। অক্ষয় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওজন কমাতে হলে সঠিক সময়ে প্রাতরাশ যেমন জরুরি, তেমনই জলখাবারে কী খাচ্ছেন, তা-ও মাথায় রাখতে হবে। দিনের শুরুতেই এমন খাবার খেতে হবে যা সারা দিনের শক্তি জোগাবে, শরীরে টক্সিন জমতে দেবে না। তাই প্রাতরাশে এমন একটি বিশেষ জিনিস খান তিনি, যা তাঁর চেহারায় তারুণ্য ধরে রেখেছে আজও।
সকালের জলখাবারে অ্যাভাকাডো টোস্ট, ডিম ও খেজুরের বিশেষ একটি শেক খান অক্ষয়। খেজুরের ওই শেকই তাঁর শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি, শরীর ডিটক্সও করে।
খেজুরের শেক কী ভাবে বানাবেন?
৪-৫টি খেজুর নিয়ে বীজ বার করে বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ, ১ চামচ চিয়া বীজ ও ২টি কাঠবাদাম মিশিয়ে ভাল করে মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিহি মিশ্রণ তৈরি হলে তা গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে খেয়ে নিতে হবে।
পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, ভিটামিন-কে, এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। অস্টিয়োপোরোসিসের আশঙ্কা কমে। জৈব সালফার থাকার কারণে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও কমায় খেজুর। পাশাপাশি ফুসফুস ভাল রাখে।