পেটের রোগের দাওয়াই! ছবি- ইনস্টাগ্রাম
সকালে, দুপুরে, রাতে কিংবা বিকেলে— খাবার বলতে ওই একটিই, নারকেল। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে পেটের এক জটিল রোগ ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়িজ়’ বা সংক্ষেপে ‘জিইআরডি’ সামাল দিয়ে রেখেছেন এ ভাবেই।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে প্রভাবী এক তরুণীর পোস্ট করা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বালাকৃষ্ণন এখন, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে রীতিমতো কৌতূহলের কারণ হয়ে উঠেছেন। শরীর ভাল রাখতে ফলমূল, শাকসব্জি যেমন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই প্রয়োজন রয়েছে প্রোটিনের। কিন্তু ২৪ বছর ধরে নারকেল খেয়ে বেঁচে থাকা ওই ব্যক্তি সব বিজ্ঞানসম্মত তথ্যকেই যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন।
শুধু শরীর ভাল রাখতেই নয় পেটের সাধারণ কিছু রোগ যেমন গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালা, বদহজম, চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কখনও হোমিয়োপ্যাথি, কখনও অ্যালোপ্যাথি, আবার কখনও আয়ুর্বেদ সমস্যা কত কীই না করেন মানুষ। কিন্তু নারকেল খেয়ে যে এমন সব রোগ কাবু করা যায়, তা জানা ছিল না কারও।
সমাজমাধ্যমে প্রভাবী ওই তরুণী বলেন, “২৪ বছর ধরে বালাকৃষ্ণন নারকেল ছাড়া আর কিছুই মুখে তোলেননি। ‘জিইআরডি’ ধরা পড়ার পর থেকে তাঁর হজমশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার পর হঠাৎ তিনি চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে শুধু নারকেল আর জল খেতে আরম্ভ করেন।”
তরুণীর করা ভিডিয়ো দেখেশুনে তাজ্জব নেটাগরিকরা। বালাকৃষ্ণনের খাদ্যাভাস দেখে একজন মন্তব্য করেছেন, “ওই ব্যক্তির মতো পেটের সমস্যা আজকাল সকলেরই হয়। তাই বলে ২৪ বছর ধরে শুধু নারকেল খেয়ে থাকার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।” অন্য আর এক জন লিখেছেন, “শুধু নারকেল খেয়ে কেউ এত দিন কী ভাবে বেঁচে থাকতে পারেন?”
চিকিৎসকদের মতে, শুধুমাত্র নারকেল খেয়ে খুব বেশি দিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বিশেষত যদি কেউ সারাদিন ধরে নারকেলের জল খেয়ে থাকেন, তা হলে তো হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। কারণ, নারকেল বা ডাবের জলে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত নারকেলের জল খেলে রক্তে এই যৌগটির মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।