এক বাটিতেই ভরপুর পুষ্টি। Credit- রুমি কুকস্।
সকালে এমন জলখাবার খাওয়া চাই, যা সারা দিন কাজের শক্তির জোগান দেবে। তবে তা থেকে যেন খুব বেশি ক্যালোরি শরীরে না যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই যে দুধ-কর্নফ্লেক্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে, এমন নয়। অসমের গ্রামের খাবার জলপানও কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরা।
অসমের এই খাবার কী দিয়ে তৈরি হয়?
বাংলায় দই-চিঁড়ে এবং বিহারে দধি-চূড়ার মতোই সকালের জলখাবারে বাড়িতে পাতা দই, সঙ্গে চিঁড়ে এবং নারকেল কোরা দিয়ে খেয়ে থাকেন অসমের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা। অবশ্য কোনও কোনও জায়গায় দইয়ের বদলে দুধও দেওয়া হয়। কী কী কারণে এই খাবার অত্যন্ত উপাদেয়?
১) কার্বোহাইড্রেট
ওজন নিয়ে যাঁরা বেশি চিন্তা করেন, তাঁরা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে চান না। কিন্তু সারা দিন কাজ করার মতো এনার্জি পেতে গেলে অল্প হলেও কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে। চিঁড়েতে কার্বোহাইড্রেট থাকলেও তার পরিমাণ কম।
২) প্রোটিন
প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হল দুধ। সেই দুধ থেকেই তৈরি হয় দই। প্রোটিন ছাড়াও দইয়ে ক্যালশিয়াম, ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে। হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে প্রোবায়োটিকযুক্ত এই খাবার।
৩) ফাইবার
চিঁড়ের সহজপাচ্য ফাইবার হজমে সাহায্য করে, আবার অনেক ক্ষণ পেটও ভর্তি রাখে। যাঁরা ওজন ঝরাতে চান, তাঁদের জন্যে এটি অন্য খাবারের বিকল্প হতেই পারে।
৪) ফ্যাট
কম ফ্যাটযুক্ত দুধ থেকে তৈরি করা দই শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। চিঁড়ে এবং দইয়ের সঙ্গে মধু কিংবা গুড় মিশিয়ে নিলে দই-পোহা সকালের জলখাবার হিসেবে খাওয়া যেতেই পারে।
৫) প্রক্রিয়াজাত নয় বললেই চলে
পুষ্টিকর খাবারের তালিকার মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি পড়ে না। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। চিঁড়ে সেই ভাবে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায় না। তাই সমস্ত পুষ্টিগুণ খাবারের মধ্যেই থাকে।