Miracle Pregnancy

মেয়ের বয়স ২৩, ৫০-এর মা অন্তঃসত্ত্বা! পর্দার ‘বধাই হো’ এ বার বাস্তবে, সত্যি গল্পেও এত মিল!

এই গল্পের মুখ্য চরিত্র ২৩ বছর বয়সি আর্যা পার্বতী ও তাঁর ৪৭ বছর বয়সি মা। পর্দার নকুলের মতোই আর্যাও মায়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ভাল মনে মেনে নিতে পারেননি। শেষমেশ কি মানতে পারলেন তিনি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৩
Share:

৫০ ছুঁইছুঁই মা অন্তঃসত্ত্বা শুনে কী করলেন তরুণী? ছবি: সংগৃহীত।

২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘বধাই হো’। মধ্যবিত্ত প্রবীণ দম্পত্তির চরিত্রে অভিনয় করেন নীনা গুপ্ত ও গজরাজ রাও। ছবিতে ২৫ বছর বয়সি নকুল ওরফে আয়ুষ্মান হঠাৎই জানতে পারেন, তাঁর মা অন্তঃসত্ত্বা! প্রথমে সমাজ থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলেও কী ভাবে বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে মা প্রিয়ম্বদার সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তা ঘিরেই গল্প! ছবিটি মুক্তি পাওয়া মাত্রই হইচই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে। দর্শকের এক অংশ ছবিতে এই প্রকার সাধুবাদ জানালেও অনেকের মুখেই শোনা যায় কটাক্ষের সুর। এ বার বাস্তবে ঘটল এমনই এক ঘটনা। সমাজমাধ্যমে ‘হিউমানস অফ বম্বে’ নামক পেজের একটি পোস্ট আপনাকে মনে করিয়ে দেবে পর্দার নকুল ও প্রিয়ম্বদার সেই গল্প।

Advertisement

এই কাহিনির মুখ্য চরিত্র ২৩ বছর বয়সি আর্যা পার্বতী ও তাঁর ৪৭ বছর বয়সি মা। পর্দার নকুলের মতোই আর্যাও মায়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রথমে মেনে নিতে পারেননি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তবে পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন, বোনের জন্মের পর একেবারেই বদলে যায় তাঁর জীবন। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। সমাজমাধ্যমে আর্যা লেখেন, ‘‘গত বছর একটা ফোনেই আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। আমি ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রতস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বাবার ফোন। কাঁপা কাঁপা গলায় তিনি আমাকে বলেন, ‘তোমার মা অন্তঃসত্ত্বা।’ আমি বুঝতে পারিনি ২৩ বছরের একটি মেয়ের এই কথাটা শোনার পর কী বলা উচিত! আমি হতবাক হয়েছিলাম বললেও কম বলা হবে। আমার মায়ের বয়স তখন ৪৭। বাবা জানান, মা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সাত মাসে মা নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। ছেলেবেলা থেকেই আমি মাকে বলতাম, আমার ভাইবোন চাই। তবে এই বয়সে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে শুনে কী করে খুশি হব, বুঝতে পারছিলাম না।’’

ছুটিতে বাড়ি ফিরে যান আর্যা। মায়ের কোলে শুয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। আর্যা মাকে বলেন, ‘‘আমার লজ্জা পাওয়ার কী আছে মা? আমি তো দীর্ঘ দিন ধরে এটাই চেয়েছিলাম।’’ তার পর থেকে আর্যা মায়ের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। সমাজমাধ্যমে আর্যা লেখেন, ‘‘ধীরে ধীরে আমি আর বাবা পরিবারের সকলকে সুখবর দিতে শুরু করি। অনেকে মায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত ছিলেন। অনেকের কাছে মায়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিছক মশকরা করার বিষয় হয়ে উঠেছিল। গত সপ্তাহে মা ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দিয়েছেন। ও কবে আমাকে দিদি বলে ডাকবে, সে অপেক্ষায় রয়েছি। জানি আমাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান অনেকটাই বেশি, তবে সেটা কি ভালবাসায় আদৌ কোনও প্রভাব ফেলবে?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement