পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে নানা ভাবে জানান দেবে শরীর। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। টানা অনেক দিন যদি ঠিক মতো জল না খাওয়া হয় এবং দৌড়ঝাঁপে শরীর থেকে অত্যধিক পরিমাণ জল বেরিয়ে যায়, তখন নানা ভাবে আপনার শরীর জানান দেয় যে আপনি ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন। উৎসবের মরসুমে অনেক সময়েই আমাদের খুব বেশি জল খাওয়া হয়ে ওঠে না। কিছু দিন পর থেকেই তার প্রভাব পড়া শুরু করে শরীরের উপর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা সেগুলি বুঝতে পারি না। আপনি যে জল কম খাচ্ছেন, তা জানা যেতে পারে অদ্ভুত কিছু লক্ষণ দেখেও। জেনে নিন সেগুলি কী—
হাত-পায়ে টান ধরা
খুব গরমে যখন ব্যায়াম করেন, শরীরও গরম হয়ে যায়। তা ঠান্ডা হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন। কিন্তু ডিহাইড্রেশন হলে, সেই জলটা পায়ে না মাংসপেশিগুলি। তাই চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে মনে রাখবেন, জল খুব কম খেলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে ঠান্ডার মধ্যেও।
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা
শরীরের জল কম গেলে আপনার লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে যা আমাদের কাজের ক্ষমতা জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই আপনার নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
মাথা ধরা
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময়ে ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। তাই সারা ক্ষণ মাথা ধরে থাকলে একটি বড় গ্লাস ভর্তি করে জল খান। সারা দিন ধরে মাঝেমাঝেই জল বা অন্য কোনও পানীয়ে (ডিটক্স ওয়াটর, ফলের রস, শরবত, লস্যি, ঘোল ইত্যাদি) চুমুক দিন। অনেকটাই রেহাই মিলবে।
মুখে দুর্গন্ধ
মুখের লালায় অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল গুণ থাকে। কিন্তু জল কম খেলে বেশি লালা তৈরি হয় না এবং মুখে ব্যাক্টিরিয়া বেড়ে যায়। তা থেকেই মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। সকালে উঠে মুখে দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোনোর কারণও তাই। ঘুমের সময়ে আমাদের শরীরের লালা উৎপাদন কম হয়। তাই সকালে উঠে মুখ ধুয়েই অনেকটা জল খেয়ে নিতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক
অনেকের ধারণা খুব বেশি ঘামেন যাঁরা, তাঁদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে। তবে সত্যিটা কিছুটা আলাদা। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা যখন অনেক বেড়ে যায়, তখন ত্বক শুকিয়ে যায়। কী করে বুঝবেন? হাতে চিমটি কেটে দেখুন। ত্বক কি অনেক ক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? স্বাভাবিক হতে সময় নিচ্ছে? তা হলে আপনার আরও জল খাওয়া প্রয়োজন।