প্রতীকী ছবি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ। মাঝেমাঝে চেয়ারে বসেই খানিক ক্ষণ ঘুমিয়ে নেন। কিন্তু বসা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লে শিরদাঁড়ায় কী পরিমাণ চাপ পড়ে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষণ এই ভাবে ঘুমোলে ঘুম ভাঙার পর ঘাড়ে-কোমরে ব্যথা হতে পারে। অনেক ক্ষণ ধরে এক ভাবে বসে থাকলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হাড়ের জয়েন্টগুলি শক্ত হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা বাড়ে। একটানা এই ধরনের সমস্যা হতে থাকলে ‘ডিপ ভেন থ্রমবোসিস’-এর মতো গুরুতর রোগও ধরে যেতে পারে।
দীর্ঘ ক্ষণ নড়াচড়া না করে স্থির হয়ে থাকা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। বিশেষ করে হাড়ের জয়েন্টগুলি যেহেতু খুব বেশি শক্ত হয়ে যায়, তাই গায়ে নানা রকম ব্যথা হওয়া শুরু হয়। তাই মাঝেমাঝে শরীর স্ট্রেচ করা খুব প্রয়োজন। বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে ঘুমোলে এই স্ট্রেচিং কিছুটা হলেও সম্ভব। কিন্তু বসে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লে তা একেবারেই সম্ভব হয় না।
প্রতীকী ছবি।
ডিপ ভেন থ্রমবোসিস
অল্প সময়ের জন্য কিছু শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও এই ভাবে ঘুমোনোর অভ্যাস হলে ডিপ ভেন থ্রমবোসিসের মতো গুরুতর রোগও হতে পারে। পায়ের (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে) ধমনীতে রক্তজমাট (বা থ্রমবাস) বেঁধে গেলে তাকে বলে ডিপ ভেন থ্রমবোসিস। অনেক ক্ষণ ধরে কোনও রকম নড়াচড়া না করে ঘুমোলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
‘ন্যাশন্যাল ব্লাড ক্লট অ্যালায়েন্স’-এর তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক দিন অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর কারণ এই অসুখ। ২৫ থেকে ৮৫— যে কোনও বয়সের মানুষের এই পরিস্থিতি হতে পারে।
কোন উপসর্গগুলির দিকে চোখ রাখবেন
১) গোড়ালি, পায়ের পাতা বা হাঁটুর নীচের অংশে ফোলা ভাব
২) ত্বক ফুলে লালচে হয়ে যাওয়া
৩) গোড়ালি হঠাৎ তীব্র ব্যথা
এ ধরনের সমস্যা দেখলে খেয়াল রাখতে হবে।