একটা সময়ের পরে মানুষের উচ্চতা বাড়ার তেমন কোনও স্বাভাবিক কারণ থাকে না। কিন্তু বাড়বাড়ন্ত বয়সেই যদি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বিশেষ কিছু ব্যায়াম করা যায়, তা হলে তা উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই সমস্ত ব্যায়াম বাড়িতেই সহজে করা যায়। তবে এ প্রসঙ্গে বলে রাখা জরুরি, উচ্চতার ব্যায়াম কিন্তু ওজন কমানোর ব্যায়ামের মতো তাড়াতাড়ি ফলপ্রসূ হয় না। তাই ফল পেতে এই সমস্ত ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত ভাবে, ধৈর্য ধরে।
ক্যাট স্ট্রেচ: এই ব্যায়ামের প্রথম উদ্দেশ্যই হল মেরুদণ্ডকে সোজা করা এবং কাঁধ ও বুকের জোর বাড়ানো। আবার হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ট্রেচিং হয় বলে টান পড়ে স্টমাকে। ফলে রক্ত সঞ্চালনও হয় ভাল। হামাগুড়ির ভঙ্গিমায় মেঝেয় বসুন। এতে জোর পড়বে হাতের তালু এবং হাঁটুতে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মেরুদণ্ড উপরের দিকে যতটা সম্ভব বাঁকান। ৫-১০ সেকেন্ড থেকে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক করুন। এই ব্যায়াম করার সময়ে কোনও ভাবেই কনুই এবং কাঁধ বাঁকালে চলবে না।
ফরওয়ার্ড বেন্ডিং স্ট্রেচ: মেঝেয় সোজা বসে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল ধরার চেষ্টা করুন। প্রাথমিক ভাবে ছুঁতে সমস্যা হলেও নিয়মিত অভ্যেস করলে ব্যায়ামটি সহজ হবে।
ফরওয়ার্ড বেন্ড: এ ক্ষেত্রে বেন্ড করতে হবে দাঁড়িয়ে। সোজা দাঁড়িয়ে হাত দু’টি মাথার উপরে তুলুন। এ বার হাত সামনের দিকে এনে পায়ের আঙুল ধরার চেষ্টা করুন। দশ সেকেন্ড থেকে আবার নিজের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যান।
লেগ কিক: এই ব্যায়ামের জন্য একটু বেশি জায়গার প্রয়োজন। এটি আবার তাইকোন্ডোর একটি মুভ। সোজা দাঁড়িয়ে বাঁ হাত বুকের কাছে এনে ডান হাত এবং ডান পা ডান দিকে তুলে যতটা সম্ভব জোরে ছুঁড়ুন। ভঙ্গিটা একেবারেই কিক মারার মতো। এ ভাবে দু’পা এবং দু’হাতেই করতে হবে।
প্রত্যেকটি ব্যায়াম শুরুর দিকে অন্তত তিন বার করা দরকার। পরে জোর বাড়লে তা বাড়িয়ে ৭-১০ বার পর্যন্তও করা যেতে পারে। এ ছাড়াও দু’টি ব্যায়ামের মাঝে কয়েক মিনিটের বিরতি বা বিশ্রামও প্রয়োজন।
এই ব্যায়ামগুলিতে মুহূর্তের ম্যাজিকে লম্বা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এগুলির নিয়মিত অভ্যেস উচ্চতা বাড়াতে যথেষ্ট সক্ষম। পাশাপাশি এতে শরীরও থাকবে ভাল।