ধুতুরদহ ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। ফলে ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার চাহিদা। ফিরছে বেড়াতে যাওয়ার চাহিদাও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বেড়াতে যেতে হলেও মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।
করোনা পরবর্তী সময়ে বেড়াতে হলে কী কী মনে রাখতে হবে? এই বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মত, এই সময়ে এমন জায়গায় যাওয়া উচিত, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা খুব কম। রিসর্ট গোছের থাকার জায়গা হলে ভাল। যেখানে অন্য পর্যটকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম। এমন হলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
কলকাতা থেকে কাছেপিঠে বেড়াতে গেলে এমন কোথায় কোথায় যেতে পারেন? সপ্তাহান্তে দু’দিনের জন্য হলেও এমন কোন কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন? তেমনই কিছু জায়গার সন্ধান দিল ‘আনন্দবাজার অনলাইন’।
ধুতুরদহ: কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনার ধুতুরদহ সপ্তাহান্তে ভ্রমণের জন্য খুব জনপ্রিয়। কোভিড পরিস্থিতির চাপ একটু কমতেই এখানে পর্যটকদের ভিড়। রয়েছে বেশ কয়েকটি রিসর্ট। সেগুলিতে ইতিমধ্যেই জায়গা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে সেগুলি। সেখানে ঘর পাওয়ার জন্য করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র থাকলে ভাল।
ফলতা
ফলতা: কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ফলতা। নদীর ধারে রয়েছে বহু রিসর্ট এবং হোটেল। গত ২-৩ মাসে এখানে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু আবার অল্প করে খুলেছে এই পর্যটনকেন্দ্রটি। ঘর পেতে কোভিড সংক্রান্ত কোনও কাগজ লাগছে না। তবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। আর এখানকার বেশ কয়েকটি রিসর্ট পোষ্য সঙ্গে রাখারও অনুমতি দিচ্ছে। ফলে যাঁরা কুকুর নিয়ে বেড়াতে যেতে চান, তাঁদের জন্য সপ্তাহান্তের খুব ভালো গন্তব্য ফলতা।
বাওয়ালির রাজবাড়ি
বাওয়ালির রাজবাড়ি: কলকাতা থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালির রাজবাড়ি বহু দিন ধরেই সপ্তাহান্তে বেড়াতে যাওয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। কলকাতা থেকে বহু পরিবার শনি-রবিবারের ছুটি কাটাতে পৌঁছে যান এখানে। প্রতিটি পরিবারের জন্যই আলাদা আলাদা করে সময় কাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। করোনা পরিস্থিতিতে এখানে যেতে হলে আলাদা করে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বা টিকার শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে কঠোর ভাবে।
আসননগর
আসননগর: খুব একটা পরিচিত নয় এই জায়গাটি। কলকাতা থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে নদিয়ার আসননগর। মায়াপুর, কৃষ্ণনগরের মতো জায়গা এখান থেকে খুব একটা দূরেও নয়। কিন্তু তার পরেও আসননগর এককথায় পাণ্ডববর্জিত। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য এখানকার রিসর্টগুলি আবার খুলেছে। কোভিড সংক্রান্ত কাগজ দেখাতে হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে বুকিং নেওয়ার সময়। পোষ্য নিয়েও যে কেউ সপ্তাহান্ত কাটিয়ে আসতে পারেন এখানে।
ইটাচুনা রাজবাড়ি
ইটাচুনা রাজবাড়ি: কলকাতা থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে হুগলি জেলায় এই রাজবাড়ি। সপ্তাহান্তে কলকাতাবাসীর গন্তব্যের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকেই থাকবে এটি। বর্তমানে এখানে যাওয়া যাচ্ছে। লাগছে না কোভিড সংক্রান্ত কোনও কাগজ। একতলায় খাবার ঘর। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। পুরোদস্তুর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। তবে দ্রুত বুকিং পাওয়া মুশকিল। সপ্তাহান্তের বুকিং পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে বেশ কয়েক সপ্তাহ।