বাথরুমের ভোল বদলে দিতে পারে গাছ। ছবি: সংগৃহীত
ঘরের ভিতর গাছ লাগাতে অনেকেই ভালবাসেন। শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়, ক্ষতিকারক দূষিত বস্তু টেনে নিয়ে ঘরের বাতাসকে শুদ্ধও করে এই সব গাছপালা। কিন্তু প্রতিটা গাছের জন্য আলাদা ধরনের যত্নের দরকার। গাছ ভেদে তাই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাকে কোথায় রাখা হবে। যেমন অনেকে পছন্দ করেন, স্নানঘরে গাছ লাগাতে। তাতে গাছে জল দেওয়ার পরিশ্রম কিছুটা কমে। আর বাথরুমটি দেখতেও ভাল লাগে। কিন্তু কোন ধরনের গাছ স্নানঘরের জন্য উপযুক্ত?
বাথরুমের আর্দ্রতার পরিমাণ অন্য ঘরের চেয়ে বেশি। তাই এমন গাছই সেখানে রাখতে হবে, যা অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং জল সহ্য করতে পারে। রইল তেমনই কয়েকটি গাছের সন্ধান।
অ্যালোকেসিয়া।
অ্যালোকেসিয়া: ছোট গাছ। ছোট একটা টবে রাখলেই খুব ভাল ভাবে বেঁচে থাকে। কড়া রোদে ঝলসে যেতে পারে। কিন্তু বাথরুমের পরিবেশে এক দম ঠিক থাকে এই গাছ। সবুজ পাতার মধ্যে সাদা দাগের কারণে একেবারে আলাদা দেখতে এই গাছ বাড়িতে আসা অতিথিদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সহজেই।
স্নেক প্লান্ট।
স্নেক প্লান্ট: গাছ সম্পর্কে যাঁদের অভিজ্ঞতা কম, তাঁরাও খুব সহজেই পরিচর্যা করতে পারেন এই গাছের। স্নেকপ্লান্ট নিয়ে সবচেয়ে বড় সুবিধা, যে কোনও রকম আর্দ্রতায় বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। রোদের দরকারও হয় না বিশেষ। বাতাস শুদ্ধ করতেও বেশ সিদ্ধহস্ত এই গাছ। সবুজ পাতা ঘিরে হলুদ দাগ এটিকে অত্যন্ত সুন্দর চেহারা দিয়েছে।
অর্কিড।
অর্কিড: অর্কিড বাঁচিয়ে রাখা অনেকের ক্ষেত্রেই কঠিন। কারণ, দরকার অভিজ্ঞতা। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা থাকলে, সহজেই অর্কিড দিয়ে সাজানো যেতে পারে বাথরুম। এই ধরনের গাছের চাহিদা খুব কম। বাতাস থেকে আর্দ্রতা নিয়েই এরা বেঁচে থাকতে পারে। নানা রঙের ফুলের জন্য গাছপ্রেমীদের মধ্যে এর চাহিদা প্রবল। খুব সহজেই সুন্দর করে বাথরুম সাজানো যায় অর্কিড দিয়ে। কিছু অর্কিড মাটিতে বসাতে হয়। কিছু এমনি ঝুলিয়ে রাখলেই বেঁচে থাকে। কোন ধরনের অর্কিডের জন্য কেমন পরিচর্যা দরকার, তা বিক্রেতার থেকে ভাল করে জেনে নিয়ে বাথরুমে রাখা যেতেই পারে এই গাছ।
পেপেরোমিয়া।
পেপেরোমিয়া: একটু গরম এবং আর্দ্র পরিবেশ পছন্দ এই গাছের। ফলে স্নানঘরে রাখা যেতেই পারে এই গাছ। খুব ছোট মাপের হয় এরা। কোঁকড়ানো ছোট পাতা। তবে কখনও কখনও একটু বাইরে রাখলে ভাল। বিশেষ করে সন্ধের দিকে বা ভোরের দিকে যখন শিশির পড়ে, তখন এই গাছকে একটু বাইরে রাখতে পারলে ভাল থাকে।
ক্রোটন।
ক্রোটন: ভারতের পরিবেশে ঘরের ভিতরে রাখার জন্য যে ক’টি গাছ সবচেয়ে জনপ্রিয়, তার মধ্যে এটি একটি। গাঢ় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ফোঁটার এই গাছটি নানা ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। কিছু দিন ঘরের ভিতরে রাখার পর একে হঠাৎ করে বাথরুমে রাখলেও যেমন অসুবিধা হয় না, তেমনই বাথরুমে বহু বছর রাখার পর হঠাৎ একদিন বাগানে বের করে দিলেও এটি সেই পরিবেশে মানিয়ে নেয়। যাঁদের অভিজ্ঞতা কম, তাঁরা এই গাছ বাথরুমে রেখে সহজেই সুন্দর করে তুলতে পারেন স্নানের ঘরটি।