শিশুরাই নিতে পারবে এই গাছগুলির যত্ন। ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে গাছপালা থাকলে মন ভাল থাকে পরিবারের খুদে সদস্যদেরও। এর সঙ্গে যদি তাদের গাছের পরিচর্যা বা গাছ লাগানোর কাজের সুযোগ করে দেওয়া যায়, তা হলে আখেরে উপকারই হয়। মোবাইল ব্যবহার কমে, মন স্থির হয় অনেকটাই।
কিন্তু শিশুদের গাছপালা পরিচর্যার কাজে লাগানোর আগে দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এমন কোনও গাছের পরিচর্যা তাদের করতে দেওয়া যাবে না, যেগুলো কিয়দাংশে হলেও বিষাক্ত। শুধু তাই নয়, যে সব গাছের পরিচর্যার পদ্ধতি জটিল, সেগুলোও শিশুদের ভরসায় ছাড়া যাবে না। আনন্দবাজার ডিজিটাল জানাচ্ছে এমন কিছু গাছের সন্ধান, যেগুলো ভারতীয় পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখা সহজ এবং শিশুরাও পারবে যাদের পরিচর্যা করতে।
জেড প্লান্ট।
জেড প্লান্ট: খুব কম জল দিতে হয়। আলো পেলেই হল। কড়া রোদে রাখার কোনও প্রয়োজনই নেই। এই গাছ শিশুদের জন্য একেবারেই নিরাপদ। অল্প করে জল কী ভাবে দিতে হয়, তা শিশুদের শিখিয়ে দিলেই হল।
স্পাইডার প্লান্ট।
স্পাইডার প্লান্ট: মাটির ছোট টবেই হোক, কিংবা ঝুলন্ত প্লাস্টিকের গামলা জাতীয় পাত্রে— এই গাছ সহজেই বাঁচিয়ে রাখা যায়। জলের চাহিদা মাঝারি। সার বা অন্য খাবারের চাহিদাও খুব কম। এই গাছের পরিচর্যাও শিশুরা সহজে করতে পারে।
লাকি বাম্বু।
লাকি বাম্বু: শুধুমাত্র জলেই বাঁচে, জলেই বাড়ে এই গাছ। প্রায় কোনও পরিচর্যাই লাগে না। পাত্রের জল শুকিয়ে গেলে আবার একটু ঢেলে দিলেই হল। এই গাছ শিশুরা খুব সহজে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। নিজেদের ঘরে এই গাছ রাখলে শিশুদের মনও ভাল থাকবে।
মানি প্লান্ট।
মানি প্লান্ট বা পোথোস: বাড়িতে পোষ্য কুকুর বা বিড়াল থাকলে এই গাছ না লাগানোই ভাল। এর পাতা কুকুর বা বিড়ালের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে একেবারেই তা নয়। খুব সহজেই এক শিশি জলে এই গাছের কাণ্ড ডুবিয়ে রেখে দেওয়া যায়। সেই অবস্থাতেই বাড়বে এই গাছ। মাটিতেও বসানো যেতে পারে।
স্নেক প্লান্ট।
স্নেক প্লান্ট: ঘরের ভিতরের গাছের তালিকায় জনপ্রিয়তার নিরিখে বহু গাছের থেকে এগিয়ে থাকবে এটি। তা ছাড়া ঘরের বাতাস থেকে দূষিত বস্তু শুষেও নেয় এই গাছ। দিনের বেলায় মাটি ভেজানো জল আর সূর্যের আলো দিতে পারলেই হল। আর কিছু চাই না এই গাছের। শিশুরা খুব সহজেই পরিচর্যা করতে পারে এই গাছের।