শেষ মুহূর্তে একটা বিয়েবাড়ি ভাড়া করা হয়, সেখানেই এক পুরোহিত ডেকে সব নিয়ম মেনে বিয়ে হয় দম্পতির। ছবি: সংগৃহীত।
রূপান্তরকামীদের বিয়ের অনুমতি দিল না কেরলের পাল্লাকাড় মন্দির। বৃহস্পতিবার ২৪ মে সকালে নীলন কৃষ্ণ এবং আডওয়াইকার বিয়ের অনুষ্ঠান সেই মন্দিরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ বুধবার দম্পতিকে জানিয়ে দেন, সেই মন্দিরে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি করা যাবে না। কারণ জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেন, উভয়ের আধার কার্ডেই লেখা তাঁদের লিঙ্গ পুরুষ। তাই মন্দিরে তাঁদের বিয়ে করানো সম্ভব নয়।
শেষ মুহূর্তে একটা বিয়েবাড়ি ভাড়া করা হয়, সেখানেই এক পুরোহিত ডেকে সব নিয়ম মেনে বিয়ে হয় দম্পতির।
ওই মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনও বিয়ে আগে মন্দির প্রাঙ্গণে হয়নি। তাই সেই দম্পতিকে মন্দিরের বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে মাত্র।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, বিয়েতে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ভুল। ছবি: সংগৃহীত।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, বিয়েতে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ভুল। মন্দিরের তরফে এক জন দাবি করেন, ‘‘প্রথমে আমাদের জানানো হয়নি যে, বর-বউয়ের মধ্যে এক জন রূপান্তরকামী। যে ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের অমতে পালিয়ে বিয়ে করতে চান, তাঁদেরও আমরা এই মন্দিরে বিয়ে করার অনুমতি দিই না। আর রূপান্তরকামীদের বিয়েতে পুলিশি ঝামেলা থাকতে পারে, সে কথা ভেবেই তাঁদের মন্দিরের শীর্ষ বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’
এই অভিযোগ সাড়া ফেলেছে সমাজের নানা স্তরে। সমাজকর্মী ইশা কিশোর বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি মন্দিরের নিজস্ব নিয়মবিধি থাকতে পারে। তাতে আমার কিছুই বলার নেই। তবে বিয়ে হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত কখনওই লিঙ্গের ভিত্তিতে হতে পারে না। মন্দির কর্তৃপক্ষ কাউকেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। এই কাজ মোটেই উচিত হয়নি।’’