বিচারপতি কাউসার এডাপ্পাগত জানিয়েছেন, ওই মহিলা স্বেচ্ছায় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। —ফাইল চিত্র
কোনও বিবাহিত মহিলা যদি স্বেচ্ছায় পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তবে পরে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ’-এর অভিযোগ গ্রাহ্য হতে পারে না। টেকে না ৩৭৬ ধারায় করা ধর্ষণের মামলাও। ২৫ বছর বয়সি যুবকের বিরুদ্ধে এক মহিলার করা ধর্ষণের অভিযোগের শুনানিতে এমনই জানাল কেরল হাই কোর্ট। ওই যুবকের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
কোল্লামের পুনালুরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি টিনো থাঙ্কাচানের বিরুদ্ধে ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৪১৭ (প্রতারণা)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগকারিণীর পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন অভিযোগকারিণী মহিলার সঙ্গে।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি কাউসার এডাপ্পাগত জানিয়েছেন, ওই মহিলা স্বেচ্ছায় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানতেন যে, আইনত ওই যুবকের পক্ষে তাঁকে বিয়ে করা সম্ভব না, কারণ তিনি নিজেই আগে থেকে বিবাহিত।
পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানান, ওই মহিলা ও যুবকের সম্পর্কের ঘটনাক্রম দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রথমে দু’জনে কোনও রকম প্রতিশ্রুতি ছাড়াই সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন। শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর বিয়ের কথা এসেছে। কাজেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক সহবাস করেছেন, এ কথা বলা যায় না বলেই মত হাই কোর্টের। পাশাপাশি ওই যুবক প্রতারণা করেছেন, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণও অভিযোগকারিণী দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে আলাপ হয় ওই যুবক ও মহিলার। তখন তাঁরা অস্ট্রেলিয়াতে থাকতেন। পরে দেশে ফিরে আসার পর যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলা আনেন অভিযোগকারিণী।