তেলঙ্গানার সিরসিলা জেলার মুড়েপাল্লে গ্রামের সেই তরুণী জগিতাল জেলার এক মন্দিরে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন। ছবি: সংগৃহীত।
তেলঙ্গানার ১৮ বছর বয়সি তরুণীর অপহরণ নিয়ে দিন দুয়েক ধরেই সংবাদমাধ্যমে বেশ হইচই শুরু হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাবার সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেই তরুণী। হঠাৎই তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। তার পরই ৪ দুষ্কৃতী গাড়ি থেকে নেমে তরুণীকে অপহরণ করে সেখান থেকে চম্পট দেয়। অপহরণের ঘটনাটির একটি সিসিটিভি ফুটেজ বেশ ভাইরাল হয়। ঘটনাটি একেবারেই অন্য দিকে ঘুরে গেল, যখন সেই তরুণীর এক নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল।
ভিডিয়োটি দেখে নেটিজ়েনরা স্তম্ভিত! ভিডিয়োটিতে তরুণী বলেন, ‘‘আমায় অপহরণ করা হয়নি। প্রেমিককে বিয়ে করার জন্যই এত তোড়জোড়।
অপহরণের পর মেয়ের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান যে, অপহরণের আগে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করেন। বাবার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তবে বিকেল হতেই ঘটনাটি সম্পূর্ণ বদলে গেল। তরুণীর করা একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হল। সেই ভিডিয়োতে তরুণী বললেন, ‘‘আমায় অপহরণ করা হয়নি। আমি নিজেই আমার প্রেমিককে ডেকেছিলাম আমায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। ওর বয়স চব্বিশ বছর।’’
তেলঙ্গানার সিরসিলা জেলার মুড়েপাল্লে গ্রামের বাসিন্দা সেই তরুণী গ্রাম থেকে ৫০ কিমি দূরে জগিতাল জেলার এক মন্দিরে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন। তরুণীর দাবি, তাঁর প্রেমিক দলিত সম্প্রদায়ের। তাই তাঁর বাবা-মা তাঁদের বিয়েতে রাজি ছিলেন না। অন্য এক জনের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়।
১০ মাস আগে যখন মেয়েটি নাবালিকা ছিলেন। তখনও তিনি পালিয়ে গিয়ে তাঁর প্রেমিককে বিয়ে করেন। তখন প্রেমিকের বিরুদ্ধে পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে মামলা দায়ের করা হয়। দু’জনকেই তার পর পুলিশের তরফে কাউন্সেলিং করা হয় এবং তরুণীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখন অবশ্য তিনি সেই তরুণী প্রাপ্তবয়স্ক। আর অপহরণের অভিযোগও নাকচ করে দেয় পুলিশ। কারণ এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা যে স্বেচ্ছায় তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে চলে গিয়েছেন, তা এই ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট।