আমাদের রোজকার রুটিনেও যেন অমলের মতো হয়ে গিয়েছে। জানালার কাঁচ পেরিয়ে যত দূর দেখা যায়, ঠিক ততটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের দৈর্ঘ্য।
Pandemic

অতিমারিতে ছোটদের মন ভাল রাখার হদিশ আমাদের পরবর্তী ওয়েবিনারে

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২১ ১৭:২৯
Share:

ঠিক কোন পথে মন ভাল থাকবে খুদেদের? প্রশ্নোত্তরে চিকিৎসক জয় আর রাম

বিগত কয়েক বছরে বিশ্বের পটচিত্রকেই বদলে দিয়েছে করোনা। নিখাদ বিয়োগ শোক এবং পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা রোগের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করতে করতে আমরা কেমন যেমন অশিতীপর হয়ে পড়ছি। লকডাউনের ঘরবন্দি অবস্থায় চার দেওয়ালের কুঠুরিতে আটকে থাকা জীবন কেমন যেন স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। আরও রুক্ষ হয়ে উঠছে জীবন। বন্দিদশার মন খারাপে ভেতর থেকে শুকিয়ে যাচ্ছি আমরা। মন খারাপের কালো মেঘ ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের।

Advertisement

ঠিক যেমন অমল দইওয়ালার অমলের মতো। লোহার গ্রিলের পেছনে বসে বাইরের জগতকে ছুঁতে চাওয়ার চেষ্টা করে অমল। আমাদের রোজকার রুটিনেও যেন অমলের মতো হয়ে গিয়েছে। জানালার কাচ পেরিয়ে যত দূর দেখা যায়, ঠিক ততটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের দৈর্ঘ্য। মোবাইল ফোনের স্ক্রিনেই চলছে বাইরের জগতকে ছোঁয়ার চেষ্টা। ভার্চুয়ালি যতটা সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করা যায় আর কী! কিন্তু তাতে কী মন মানে! এক প্রকার বাধ্য হয়ে বন্দি জীবনকে মেনে নেওয়ার ফলে খারাপ প্রভাব পড়ছে সকলের উপরই। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছোটরা। মূলত বয়ঃসন্ধিস্তরে যারা রয়েছে। খেলাধূলা, দৌড়-ঝাঁপ, মেলা মেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও ক্ষতি হচ্ছে তাদের। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পড়াশোনাতেও মন লাগছে না। পরোক্ষভাবে যার প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের উপর। মানসিক ক্লান্তির ছাপ উঠে আসছে পরীক্ষায় ফলাফলে। তাই মন ভাল রাখতে, মূলত অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মানসিক দৃঢ়তাকে আরও শক্ত করতে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছি আমরা। বিশদে জানুন bit.ly/mentalwellbeingS1

এই কঠিন সময়ের বেড়াজালে জড়িয়ে যাওয়া এই শিশুমনকে স্বাভাবিক ছন্দে কী ভাবে আনা সম্ভব? ঠিক কী করলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে এই মানসিক সমস্যাগুলোকে? ঠিক কোন পথে মন ভাল থাকবে খুদেদের? বয়ঃসন্ধির পর্যায়ে মন ফুরফুরে রাখতে কী কী করা উচিত? গেম খেলা থেকে বই পড়া, কিংবা গল্প শোনা - কোন উপায় হতে পারে স্ট্রেসবাস্টার? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে, মন ভাল রাখার ঠিকানা বাতলে দিতে আগামী ২ জুন একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছি আমরা। সঙ্গে থাকছেন অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হসপিটালের মনোরোগ বিশষজ্ঞ, তথা মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশন, কলকাতার জয়েন্ট ডিরেক্টর চিকিৎসক জয় আর রাম। ঠিক সন্ধে সাড়ে চারটে থেকে। লাইভ সম্প্রচার হবে আনন্দবাজার ডিজিটালের ফেসবুক পেজে থেকে। রেজিস্ট্রেশন করুন - bit.ly/mentalwellbeingS1

Advertisement

মনে রাখবেন সুস্থ মনই হতে পারে রোগমূক্ত ও দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি। তাই মন ভাল রাখুন। সুস্থ থাকুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement