Kolkata Travel

কলকাতাতেই আছে গরম থেকে পালাবার ডেস্টিনেশন, খুঁজে দেখলেই পাবেন

গরমের দাপটে ক্লান্ত, শ্রান্ত শরীর। সারা দিন ঘেমেনেয়ে অফিস-বাড়ি চড়কিপাক প্রাণটা দু’দণ্ড হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু যাই বললেই তো আর দার্জিলিং, লাভা, লোলেগাঁও টোটো কোম্পানি সম্ভব নয়!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ১৫:৪৪
Share:

নলবনের সবুজে খুঁজে নিন শান্তি। ফাইল চিত্র।

গরমের দাপটে ক্লান্ত, শ্রান্ত শরীর। সারা দিন ঘেমেনেয়ে অফিস-বাড়ি চড়কিপাক প্রাণটা দু’দণ্ড হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু যাই বললেই তো আর দার্জিলিং, লাভা, লোলেগাঁও টোটো কোম্পানি সম্ভব নয়!

Advertisement

পকেট বড় বালাই। তার সঙ্গে আছে ছুটিছাটার হাজার ঝক্কি। বেশির ভাগ লোককেই সাধ আর সাধ্যের ফারাক বুঝে মুখ বুঝে কাটিয়ে দিতে হয়।

কিন্তু কলকাতার গরমে পচে যাওয়া ছাড়া কি কোনও অন্য উপায় নেই? এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়া যাবে? হাওয়াবাতাস আছে, আছে গাছের ছায়া এমন জায়গা শহরে সত্যিই নেই? এমন জায়গা,যেখানে একটা বিকেল, একটা রবিবার দিব্যি কাটানো যায়?

Advertisement

উত্তরে বলতেই হয়, শহরটাকে এখনও চেনেন না আপনি। হলফ করে বলা যায় এমন জায়গা আছে। দেখা যাক এই শহরের একান্ত সামার ডেস্টিনেশনগুলিকে—

নলবন বোটিং কমপ্লেক্স

চেনা বামুন। পইতে লাগে না। এখনও আকর্ষণীয় দুপুর নিজের শরীরে ধরে রাখে নলবন। শিকারা বা বোটিংয়ে আগ্রহ না-থাকলে রেস্তরাঁ কাম পানশালায় বসুন। সামনে হালকা ঢেউ। দূরে তালগাছের সারি।

বেণুবনছায়া

পাটুলির এই পার্কটির নামের মধ্যেই রয়েছে ছায়ার আশ্বাস। জল আর গাছালির মাঝখানে ব্যবস্থা রয়েছে বোটিং, শিকারা-বিহার, মাছধরার। এই পার্কের অন্যতম আকর্ষণ ‘ট্রাম রেস্তরাঁ’। ঠান্ডা মাথায় গসিপ অথবা নিছক নীরবতার জন্য যথাযথ।

অন্যতম আকর্ষণ ‘ট্রাম রেস্তরাঁ’

বিশ্ববাংলা হাট

ইকো পার্কের পাশেই এই জায়গা। নানা ভুবনের কারুকলার সঙ্গে ছায়া ফ্রি। সন্ধেটাও মনোরম।

আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, ওষুধ না খেয়ে কী করবেন জানুন

চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংচুয়ারি

নরেন্দ্রপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই এই পাখিরালয়। পাখি ছাড়াও রয়েছে প্রজাপতি, ফার্ন আর অর্কিডের সমারোহ।

সঙ্গী না থাকলে একলাই কাটিয়ে দিন দুপুর

ময়দান

কেবল বেছে নিতে হবে কোন গাছের তলাটা বেশি স্বস্তিদায়ক। আর তার পরে সঙ্গী না থাকলে একলাই কাটিয়ে দিন একটা দুপুর। কোনও ঝক্কি নেই। ঝঞ্ঝাট নেই। সন্ধে হলে হাঁটুন ময়দান বরাবর। চাইলে ট্রামে উঠুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement